ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের নারী ও শিশু অধিদপ্তর (ডব্লিউসিডি) তাদের মাঠকর্মীদের ‘শালীন’ পোশাক পরার পরামর্শ দিয়েছে। তারা বলেছে, নারী কর্মীরা যেনো কর্মস্থলে জিন্স ও টি-শার্ট পরে না আসে।
ডব্লিউসিডি এ ব্যাপারে তাদের শাখা পরিচালকদের কার্যালয়ে গত ১৮ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মেয়েরা শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ সঙ্গে দোপাট্ট আর ছেলেরা শার্ট ও প্যান্ট পরে কর্মস্থলে যাবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ইদানীং লক্ষ্য করা যাচ্ছে বেশিরভাগ নারী কর্মী জিন্স-টিশার্ট বা পশ্চিমা পোশাক পরে কর্মস্থলে আসছেন। এটা শুধু বেখাপ্পায়ই লাগে না বরং সরকারি আইনেরও লঙ্ঘন। নতুন আইন লঙ্ঘনকারীদের ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
অনেকের মধ্যে আপত্তি থাকলেও নারী ও শিশু অধিদপ্তরের এ নতুন আইনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন রাজ্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রী গীতা ভুকাল। তিনি বলেছেন, ‘সব পেশারই একটা ড্রেস কোড থাকে। আর সবাইকে তা মেনে চলা উচিৎ। তবে এ আদেশে যদি কেউ মনক্ষুণ্ন হন তাহলে অভিযোগের ভিত্তিতে তা পুনরায় পর্যালোচনা করে দেখা হবে।’
প্রজ্ঞাপনে জিন্স ও টি-শার্টকে পরোক্ষভাবে অশালীন পোশাক বলায় অবশ্য সমালোচনা করেছেন গীতা। তিনি বলেছেন, ‘জিন্স ও টি-শার্ট অশালীন পোশাক নয়। আমি বুঝি যে, প্রজ্ঞাপনে এই শব্দটি ব্যবহার করা ঠিক হয়নি।’
আদেশের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে ডব্লিউসিডির’ একজন নারী কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এ অদ্ভুত আদেশের পেছনের যুক্তিটা কী আমরা তা বুঝতে পারছি না। অথচ বেশিরভাগ নারী এবং কর্মীই ভারতীয় পোশাক পরে। আমরা জানি না, এ আদেশের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ জানাতে পারব না কি না যেখানে আমাদের বেশিরভাগ কর্মীই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া।’
কাকতালীয়ভাবে, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন নারী ও শিশু অধিদপ্তরের সচিব এবং সব শাখা পরিচালক নারী।