টাকা দিয়ে খেলতে চেয়েও দক্ষিণ আফ্রিকাকে রাজি করানো যায়নি। এফটিপির বাইরে অতিরিক্ত কোনো খেলা তারা খেলবে না। আইসিসির কাছ থেকে অর্থ না পেয়ে আয়ারল্যান্ডও পিছু টান দিয়েছিলো। কেবল ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোতে বিসিবি একাদশের সফরটা নিশ্চিত হয়।
এত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও হাল ছাড়েনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের মাধ্যমে অনবরত যোগাযোগ রেখে বেশ কিছু খেলার ব্যবস্থাও করে ফেলেছে। সব কিছু ঠিক থাকলে সেপ্টেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি খেলা খেলতে পারবে জাতীয় ক্রিকেট দল।
জিম্বাবুয়ে এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে ২০ জুন থেকে যে, পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ হওয়ার কথা ছিলো শেষপর্যন্ত তা ত্রিদেশীয় সিরিজে হতে পারে। আইসিসির কাছ থেকে অনুদান পাওয়ায় ক্রিকেট জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানাতে রাজি হয়েছে। যদিও বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করছে। কিন্তু নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ দলের জিম্বাবুয়ে সফর অনেকটাই নিশ্চিত।
বিসিবির একজন নির্ভরযোগ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগস্টে আয়ারল্যান্ড সফরেও যেতে পারে জাতীয় ক্রিকেট দল। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের সঙ্গে আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের আলোচনা চলছে। শেষপর্যন্ত সফরটা হলে সমস্ত খরচ বিসিবিকেই দিতে হবে। একটি চার দিনের, পাঁচটি একদিনের ও দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার যে, প্রস্তাব করা হয়েছিলো তা আর হচ্ছে না। এখন তিনটি একদিনের ম্যাচের আয়োজন করতে রাজি হয়েছে আইরিশ ক্রিকেট বোর্ড। সফরে স্কটল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও একটি করে ওয়ানডে খেলার চিন্তাভাবনা আছে। বাংলাদেশের প্রস্তাবে রাজিও হয়েছে তারা। ওই সফরে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে বাংলাদেশ।
সেখান থেকে ২৫ অথবা ২৭ আগস্ট ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোতে যাবেন জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটার। ক্যারিবিয়ান দ্বীপ দেশটি সুবর্ণ জয়ন্তি উপলক্ষ্যে বিসিবি প্রেসিডেন্ট একাদশকে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। বিসিবি তাতে সাড়াও দিয়েছে। জাতীয় দলের খেলোয়াড়রাই মূলত ওই সফরে যাবেন।
এখানেই শেষ নয়, চেষ্টা করা হচ্ছে সেপ্টেম্বরে একটু আগে ভাগে শ্রীলঙ্কায় গিয়ে অতিরিক্ত দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার জন্য। আইসিসির অনুমোদন পেলে এবং শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডকে রাজি করা গেলে ৪ অথবা ৫ সেপ্টেম্বর বিশ্বকাপের শহরে তাবু ফেলবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আগে থেকে শ্রীলঙ্কায় থাকার যে খরচ হবে তা বিসিবি-ই বহন করবে। এছাড়াও আইসিসির ব্যবস্থায় জিম্বুবয়ে এবং আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
দেশেও একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট করবে বিসিবি। বিসিবি একাদশ, একাডেমি দল এবং জাতীয় দলের মধ্যে হবে এই প্রতিযোগিতা। ডাবল লিগের টুর্নামেন্টেও পাঁচটি ম্যাচ খেলতে পারবে জাতীয় দল।