ফয়জুরকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত

ফয়জুরকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও জনপ্রিয় লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপর হামলাকারী ফয়জুর রহমানকে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ওইদিনই তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়। শুক্রবারও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশের একটি বিশেষ দল।

তবে জিজ্ঞাসাবাদে কী তথ্য পাওয়া গেছে তা এখনই জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুর রহমান।

এদিকে গাজীপুর থেকে আটক ফয়জুরের ভাই এনামুল হাসানকে শুক্রবার রাতে সিলেটে আনা হয়েছে। শুক্রবার তাকে মহানগর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।

কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) উপ-কমিশনার মহিদুল ইসলাম খান বলেন, আটক এনামুল হাসান ও তার কাছ থেকে উদ্ধারকৃত মোবাইল, ট্যাব ও মেমোরি কার্ডও সিলেট মহানগর পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গাজীপুর থেকে ফয়জুরের বড় ভাই এনামুলকে আটক করা হয়।

জালালাবাদ থানার ওসি এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামও এনামুলকে তাদের কাছে হস্তান্তরের কথা জানান। এনামুলকে ফয়জুরের মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গেছে।

তিনি বলেন, মহানগর পুলিশের একটি ইউনিটের কার্যালয়ে রেখে তাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বেশ কয়েকটি ইউনিট দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছে। ফয়জুর কোন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত, এর নেপথ্যে কারা, তাদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই এসব বলা যাচ্ছে না।

হামলার ঘটনায় ফয়জুরের পরিবারের চার সদস্য বাবা হাফিজ আতিকুর রহমান, মা মিনারা বেগম, মামা ফজলুর রহমান, ভাই এনামুল হাসান ও শাবিপ্রবি গ্রন্থাগারের নিরাপত্তা প্রহরী খালেকুজ্জামান, বাইসাইকেল কারিগর জাহিদ পুলিশ হেফাজতে আছেন।

ওসি আরো বলেন, হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ব্যবহৃত ছুরি, রক্তমাখা কাপড়, ফয়জুরের ব্যবহৃত সাইকেল এরইমধ্যে আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত শনিবার (০৩ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হামলার শিকার হন অধ্যাপক জাফর ইকবাল। তার মাথা, পিঠ ও হাতে ছুরিকাঘাত করে ফয়জুর। জাফর ইকবালকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে সিলেটের ওসমানী হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে আনা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

জেলা সংবাদ