ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ক্রমেই দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্র নিপীড়নকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে। খুনিরা চিহ্নিত হওয়ার পরও গত পাঁচ বছরে নারায়ণগঞ্জের কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার বিচার না হওয়া এর বড় প্রমাণ। তিনি বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ কিশোররা আজ ভীষণভাবে বিপদগ্রস্ত। রাষ্ট্র কিশোরদের বিকশিত ও জ্ঞান চর্চার পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারছে না।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের উদ্যোগে ‘ত্বকী হত্যা ও বিচারহীনতার ৫ বছর’শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষ অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন। সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের সদস্য সচিব কবি ও সাংবাদিক হালিম আজাদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন লেখক সাংবাদিক কামাল লোহানী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সমন্বয়ক বদিউল আলম মজুমদার, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, সমকালের সহযোগী সম্পাদক অজয় দাস গুপ্ত, আবদুল মালেক রতন, শফিউদ্দিন আহম্মেদ ও সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি।
কবি কামাল লোহানী বলেন, দেশে স্পর্শকাতর কোনো হত্যাকাণ্ডের বিচার হচ্ছে না। রাষ্ট্রের উদাসীনতার কারণে প্রগতিশীলতা চর্চাকারী লোকজন আতঙ্কে রয়েছে। অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেন, সরকার মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও উন্নয়নের কথা বললেও গোপনে খুনি ও মাফিয়াদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে। তিনি আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে ত্বকী হত্যার বিচার দাবি করেন।