এবার ডেসটিনি ট্রি-প্ল্যান্টেশনের হিসাব জব্দ

এবার ডেসটিনি ট্রি-প্ল্যান্টেশনের হিসাব জব্দ

মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কোম্পানি ডেসটিনি গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ডেসটিনি ট্রি-প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

আয়কর অধ্যাদেশের ১১৭ অনুচ্ছেদের ৪ ধারা অনুযায়ী এনবিআর প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে বলে জানা গেছে।

এনবিআর’র সেন্ট্রাল ইন্টিলিজেন্স সেল (সিআইসি) থেকে মঙ্গলবার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে চিঠি পাঠিয়ে ডেসটিনি ট্রি-প্ল্যান্টেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংক হিসাবের সব ধরনের লেনদেন স্থগিত রাখতেও বলা হয়।

এনবিআর’র তথ্য মতে, আয়কর বিবরণীর সঙ্গে প্রকৃত আয়ের মিল না থাকা, আয় গোপন করার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ কর ফাঁকি প্রমাণ পাওয়ায় ইতিমধ্যে ডেসটিনি গ্রুপ সংশ্লিষ্ট আট জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।

এরই ধারাবহিকতায় পর্যায়ক্রমে ডেসটিনির ৩৭ অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের রাজস্ব ফাঁকির বিষয়ে তদন্ত করবে এনবিআর। প্রয়োজনে পর্যায়ক্রমে সব পরিচালকের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হবে বলেও এনবিআর সূত্র জানিয়েছে।

এর আগে গত ৩ এপ্রিল ডেসটিনি গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইন, ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সাত পরিচালকের ব্যাংক হিসাব তল্লাশি শুরু করে এনবিআর। এর পাশাপাশি ডেসটিনি গ্রুপের ১০টি প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবও জানতে চাওয়া হয়। পরে আরও ছয়জন পরিচালকের ব্যাংক হিসাব তল্লাশি করে এনবিআর।

এরপর গত ২৫ এপ্রিল আরকর ফাঁকি দেওয়ার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ শীর্ষ পাঁচ ব্যক্তির যাবতীয় ব্যাংক হিসাব জব্দ করে এনবিআর।

তারা হলেন- ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীন, তার স্ত্রী ফারাহ দিবা, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোফরানুল হক, পরিচালক সাইদ উর রহমান ও পরিচালক মেজবাহ উদ্দীন স্বপন।

প্রসঙ্গত, ডেসটিনির রাজস্ব সংক্রান্ত অনিয়ম তদন্তে এনবিআর সদস্য (নিরীক্ষা, পরিদর্শন ও তদন্ত) মোহাম্মদ আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে ২০ সদস্যবিশিষ্ট বিশেষ কমিটি গঠন করে এনবিআর।

অর্থ বাণিজ্য