আল্লাহ তাআলা জান্নাতিদের লক্ষ্য করে বলবেন, ‘এটি ছিল একটি স্মরণ। (এখন শোন!) মুত্তাকিদের জন্য নিশ্চিতভাবেই রয়েছে উত্তম আবাস; চিরন্তন জান্নাত, যার দরজাগুলো তাদের জন্য খোলা থাকবে। সেখানে তারা বসবে হেলান দিয়ে, বহুবিধ ফলমূল ও পানীয়ের ফরমায়েশ করতে থাকবে এবং তাদের কাছে লজ্জাবতী কম বয়সী স্ত্রীরা থাকবে। এ সব এমন জিনিস; যেগুলো দেয়ার ব্যাপারে তোমাদের সঙ্গে অঙ্গীকার করা হচ্ছে। (আল্লাহ বলেন) এ সব হচ্ছে আমার রিজিক; যা কখনো শেষ হবে না।’ (সুরা সাদ : আয়াত ৪৯-৫৪)
জান্নাত মুমিন মুসলমানের কাঙ্ক্ষিত, শেষ ও চিরস্থায়ী আবাস স্থল। এ বর্ণনা কুরআন-হাদিসের অসংখ্য জায়গায় বার বার এসেছে। এ জান্নাতের দরজা তাঁর বাসিন্দাদের জন্য সব সময় খোলা থাকবে বলে আল্লাহ তাআলা কুরআনে পাকে অঙ্গীকার করেছেন। জান্নাতের দরজা খোলা থাকা সম্পর্কে ৩টি বিবরণ পাওয়া যায়। আর তাহলো-
>> মুমিন বান্দা জান্নাতে প্রবেশ করার জন্য দরজা খোলার চেষ্টা করার কোনো প্রয়োজন হবে না। বরং তাদের মনের ইচ্ছা জাগার সঙ্গে সঙ্গে জান্নাতিদের জন্য জান্নাতের দরজা খুলে যাবে।
>> জান্নাতের ব্যবস্থাপনায় যে সব ফেরেশতা নিয়োজিত থাকবে; তারা জান্নাতিদের দেখামাত্র তাদের জন্য নির্ধারিত জান্নাতের দরজা খুলে দেবে।
কুরআনে কারিমে আল্লাহ তাআলা স্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ করেন, ‘এমনকি যখন তারা সেখানে পৌঁছবে এবং তার দরজা আগে থেকেই খোলা থাকবে; তখন জান্নাতের ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত ফেরেশতারা (সম্ভাষন জানিয়ে) বলবে, সালামুন আলাইকুম-শুভাগমন’ চিরকালের জন্য এর মধ্যে প্রবেশ করুন।’ (সুরা যুমার : আয়াত ৭৩)
জান্নাতে প্রবেশের পর একজন জান্নাতি ধারাবাহিকভাবে তাঁর জন্য নির্ধারিত নেয়ামতসমূহ ভোগ করতে থাকবে। আর এ হলো মুমিন বান্দার সঙ্গে মহান আল্লাহ তাআলার ওয়াদা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে চিরস্থায়ী জান্নাত লাভে কুরআন-সুন্নাহর বিধানগুলো দৈনন্দিন জীবন যথাযথ বাস্তবায়ন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।