শুরু হয়েছে বেসরকারি টেলিভিশন গান বাংলার আলোচিত সংগীতানুষ্ঠান ‘উইন্ড অব চেঞ্জ-সিজন ৩’ এর প্রস্তুতি পর্ব। এর আগে অনুষ্ঠানটির সিজন-১ ও সিজন-২ সব ধরনের শ্রোতাদের কাছেই সমাদৃত হয়েছে। এবারও নতুন আঙ্গিকে সাজানো হচ্ছে অনুষ্ঠানটি। চলছে শিল্পী নির্বাচনের কাজ। জানা গেছে, এপ্রিলের মাসেই এফডিসিতে অনুষ্ঠানটি ধারণ করা হবে।
দর্শকের চাহিদা মাথায় রেখে এবারো বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা যন্ত্রশিল্পীরা বাজাবেন দেশের স্বনামধন্য, জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পীদের গানে। প্রবীণ শিল্পীদের পাশাপাশি বর্তমান প্রজন্মের জনপ্রিয় শিল্পীদের অংশগ্রহণ থাকছে এবারও। বর্তমানে এই অনুষ্ঠানের জন্য শিল্পী নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে।
আয়োজক সূত্রে জানা যায়, এবারের সিজনটিতে পূর্বের সিজনগুলো থেকে ভিন্ন কিছু যুক্ত হবে। এ প্রসঙ্গে আয়োজকরা জানিয়েছেন, এবারের আয়োজনে বাড়তি সংযোজন হিসেবে বড় ধরণের কিছু চমক রয়েছে।
ইতোপূর্বে ‘উইন্ড অব চেঞ্জ’-এর বিভিন্ন সিজনে নমস্য সংগীতশিল্পী ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী, বারী সিদ্দিকী, জানে আলম, অদিতি মহসিন, সুবীর নন্দী, কৌশিক হোসেন তাপস, জেমস, আইয়ুব বাচ্চু, হাবিব, বালাম, চিরকুট, হৃদয় খান, চিশতী বাউল, তপু, এলিটা, পথিক নবীসহ এই প্রজন্মের অনেক জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী অংশগ্রহণ করেছেন।
যন্ত্রসংগীতে অংশ নিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা যন্ত্রশিল্পীরা। এ তালিকায় ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের চেলো বাদক আট ইউম মেনিকিয়ান, লাটভিয়ার পিয়ানোশিল্পী এনা ভাইভ, যুক্তরাষ্ট্রের ড্রামার টনি পার্কার, রাশিয়ার অপেরাশিল্পী এনা এমিলিয়া নোভা, একই দেশের ভায়োলিন বাদক এনা রাকিতা, ড্রামার নেলি বুভুজাংকা ও বেজ গিটারিস্ট আন্তন ডেভিডিয়ান্স, অপেরাশিল্পী এনা এমিলিয়া নোভা, এডেলিনা, ভারতের খ্যাতিমান একুইস্টিক গিটারিস্ট সঞ্জয় দাস, বেইজ গিটারিস্ট মোহিনী দে, ইলেকট্রিক গিটারে রিদম শ’, সেতারে পূর্বায়ন ট্যাটার্জি, সন্তুরে সন্দীপ চট্টোপাধ্যায়, এস্রাজে আরশেদ খান এবং ম্যাণ্ডোলিনে রাজেস উপ্পালাপু।
‘উইন্ড অব চেঞ্জ’-এর সংগীত পরিচালক ও অনুষ্ঠান পরিচালক হিসেবে থাকছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী কৌশিক হোসেন তাপস। এবারের আয়োজন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘উইন্ড অব চেঞ্জ’-এর আগের দুটি প্রি-সিজনসহ সিজন-১ ও সিজন-২ ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেছে। দেশ-বিদেশের নানা সংগীতজনের কাছ থেকে আমি প্রচুর প্রশংসা ও প্রেরণা পেয়েছি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জনপ্রিয় যন্ত্রশিল্পীরা এই অনুষ্ঠানে বাজানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বিভিন্ন দেশ থেকে ‘উইন্ড অব চেঞ্জ’-এর পুরো দল নিয়ে বড় বড় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ পেয়েছি। এতে আমি দারুণভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছি এবং আরো বর্ণাঢ্য আয়োজনে সিজন-৩ আয়োজনে প্রয়াসী হয়েছি। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের গানগুলোকে শ্রোতাদের সামনে নতুন করে, নতুন আঙ্গিকে তুলে ধরাই আমাদের উদ্দেশ্য। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মে বাংলা গানকে সম্মানজনক উচ্চতায় তুলে ধরাও আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। আমার বিশ্বাস, আমরা লক্ষ্য পূরণে অনেকখানি এগিয়েছি।’’