ক্ষুদ্রঋণে বাংলাদেশে দারিদ্র্য কমেছে: ভারতে আতিউর

ক্ষুদ্রঋণে বাংলাদেশে দারিদ্র্য কমেছে: ভারতে আতিউর

ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে বাংলাদেশের গ্রামীণ পর্যায়ে দারিদ্র্যের হার কমেছে বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান।

মঙ্গলবার সকালে কলকাতার সল্ট লেক ‘বন্ধন’ ক্ষুদ্রঋণদানকারী সংস্থার ভবনে ‘দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্রঋণের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।

এদিনে অনুষ্ঠানে বন্ধনের প্রতিষ্ঠাতা চন্দ্রশেখর ঘোষ ড. আতিউর রহমানকে এক সংবর্ধনা দেন।

ড. আতিউর রহমান বলেন, বন্ধন বাংলাদেশর ঋণদানকারী সংস্থা ব্র্যাকের অভিজ্ঞতা থেকেই যাত্রা করেছে। কিন্তু এখন বন্ধনের কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।

তিনি বলেন, ৭০ সালে বাংলাদেশে ৭০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্য ছিল। ১৯৮০ সালে জনসংখ্যা বৃদ্ধি, প্রাকৃতিক বির্পযয় দেশে চরম দারিদ্র্য নিয়ে আসে। তবে ৮০ থেকে ৯১ সালে ৬০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে থাকলেও ২০১০ সালে তা ৩১ শতাংশে নেমে আসে। এর পাশাপাশি সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি, শিশুমৃত্যু হার হ্রাস দেশের আর্থিক উন্নতির চিত্রকেই প্রমাণ করে।

তিনি আরও বলেন, এই উন্নতির কারণ হচ্ছে- জনসংখ্যার হার হ্রাস, বিদেশি সহায়তা বৃদ্ধি, কৃষি উৎপাদন ও অবকাঠামোর উন্নয়ন। এ ক্ষেত্রে ক্ষুদ্রঋণের ভূমিকা অনেক।

বিশ্ব ব্যাংকের দু’টি জরিপের উল্লেখ করে তিনি বলেন, অধিক দরিদ্রদের কাছে ক্ষুদ্রঋণ পৌঁছে গেছে। কারণ সচ্ছলদের কাছে তা জনপ্রিয় হয়নি। তবে, ক্ষুদ্রঋণ লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে পারেনি।

যদিও বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীরা আগের থেকে বেশি দায়িত্ব পালন করছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ক্ষুদ্রঋণের পাশাপাশি ক্ষুদ্রবীমা চালু করা জন্য তিনি প্রস্তাব করেন। মোবাইল ব্যাংক পরিষেবা ও সংবাদমাধ্যমে এ বিষয়ে আরও প্রচার করার পরামর্শ দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের এ গভর্নর।

অর্থ বাণিজ্য