জেলার উপজেলা সদরে বর্তমান সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে (২০১৪-১৭) স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর মাধ্যমে ৬৪৭ কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। এর মধ্যে সড়ক, কালভার্ট, ব্রীজ নির্মাণ, খাল পুনঃখনন, হাটবাজার উন্নয়ন, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা কমপ্লেক্স, সাইক্লোন সেল্টার ও অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাসস্থান নির্মাণ রয়েছে।
উপজেলা পরিষদ সূত্র জানায়, এসব উন্নয়ন কাজের মধ্যে উপজেলা সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে ৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৫ কিঃমিঃ। ইউনিয়ন সড়ক ৭৫ কিঃমিঃ করা হয়েছে ৫৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে। ১৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে গ্রামীন সড়ক নির্মিত হয়েছে ২০০ কিঃমিঃ। উপজেলা সড়কে ব্রীজ কালভার্ট নির্মান হয়েছে ১৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭০০ মিটার। ইউনিয়ন সড়কে ব্রীজ কালভার্ট হয়েছে ৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৫০ মিটার। গ্রামীন সড়কে ব্রীজ কালভার্ট নির্মিত হয়েছে ১ হাজার ৩৬৫ মিটার ৭০ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে।
এ ছাড়া গ্রোথ সেন্টার ও হাট বাজার উন্নয়ন হয়েছে ৩টি ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে। সদর উপজেলা কমপ্লেক্স হয়েছে ৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ে। ১টি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স হয়েছে ৮১ লাখ টাকা ব্যয়ে। পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে দুটি খাল পুন-খনন করা হয়েছে ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে। ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়-কাম সাইক্লোন সেল্টার নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণ হয়েছে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ও রাজস্ব উন্নয়ন প্রকল্প’র মাধ্যমে গ্রামীণ ছোট ছোট কাজের উন্নয়ন হয়েছে ১০ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে ২১৩টি। অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাসস্থান নির্মান হয়েছে ৭কোটি টাকা ব্যয়ে ৭টি।
সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোশারেফ হোসেন বাসস’কে জানান, সদর আসনের সংসদ সদস্য ও বানিজ্যমন্ত্রী তোফয়েল আহমেদের একান্ত প্রচেষ্টায় এলজিডি’র মাধ্যমে এই উপজেলায় ৬৪৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকার উন্নয়ন কাজ হয়েছে। ফলে গ্রামীন সাধারণ মানুষের জীবন মানের সার্বিক উন্নয়ন হয়েছে। এছাড়া সদর উপজেলায় আরো বেশ কয়েকটি বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের অপেক্ষায় রয়েছে বলে উপজেলা চেয়ারম্যান জানান।