গ্রিসে রোববারের নির্বাচনে মধ্যডানপন্থি দল নিউ ডেমোক্র্যাসি সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেলেও অর্থনীতিতে কৃচ্ছ্রতার নীতি বিতর্কে জোট সরকার গঠনে ব্যর্থ হয়েছে।
অর্থনীতির সঙ্কট উত্তরণে কৃচ্ছ্রতা নয় বরং ইউরোর ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা বেশি চিন্তিত -নির্বাচনের আগে দলটি ভোটারদের এমনটি বোঝানোর চেষ্টা করলেও আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে, ফলে এককভাবে সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি তারা।
দলের প্রধান আনটোনিস সামারাস সোমবার বলেছেন, ‘জাতীয় মুক্তির’ প্রশাসন গঠনের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। জোট গঠন একেবারে ‘অসম্ভব’ বলে মনে করছেন তিনি।
এখন এ সুযোগে কট্টর বামপন্থি দল সিরিজা অর্থনীতিতে ব্যয় সঙ্কোচন বা কৃচ্ছ্রতা নীতির বিরোধীদের নিয়ে জোট গঠনে সচেষ্ট হতে পারে।
দলের নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকের পর সোমবার টেলিভিশন বার্তায় সামারাস বলেন, ‘আমি একটা অন্তত ফলাফল বের করার চেষ্ট করেছিলাম কিন্তু তা অসম্ভব।’
এদিকে জাতীয়তাবাদী দল ইন্ডিপেন্ডেন্ট গ্রিকস এবং কমিউনিস্ট পার্টি তার সঙ্গে বৈঠকে বসতেও রাজি হয়নি। নির্বাচনে তৃতীয়স্থানে থাকা পাসোক পার্টি যা সাবেক জোট সরকারে নিউ ডেমোক্র্যাসির সঙ্গে ছিল তারা বলছে, তারা সামারাসকে সহযোগিতা করতে রাজি আছে যদি অন্য বামপন্থি দলগুলোও তার সঙ্গে যোগ দেয়।
অর্থনৈতিক সঙ্কটে নিপতিত ইউরোজোনের দেশ গ্রিসে জনগণ এবার কৃচ্ছ্রতা নীতির বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীদের পক্ষেই তাদের সমর্থন দিয়েছেন। একই অবস্থা সম্প্রতি ফ্রান্স নির্বাচন ও ইতালিতেও দেখা গেছে।
গ্রিসে রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, সাবেক জোট সরকারের দুই অংশীদার মধ্যডানপন্থি নিউ ডেমোক্র্যাসি এবং বামপন্থি পাসোক পার্টির সমর্থন কট্টর ডান এবং বাম দলগুলোর দিকেই গেছে।
ফ্রান্সের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া হলাঁদে বলেছেন, তিনি অর্থনীতি সুরক্ষায় কৃচ্ছ্রতার বিকল্প নীতি খুঁজবেন।
ইতালির স্থানীয় নির্বাচনের আংশিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলো সমর্থন হারিয়েছে। এর মধ্যে কমেডিয়ান বেপ্পে গ্রিলোর নেতৃত্বে ইউরো বিরোধী আন্দোলন একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা বলে বিবেচিত হচ্ছে।