তারেক রাজনীতিতে ফিরবেন আশা করি না: ক্রাউলি

তারেক রাজনীতিতে ফিরবেন আশা করি না: ক্রাউলি

বাংলাদেশ ককাসের কো-চেয়ারম্যান কংগ্রেসম্যান জোসেফ ক্রাউলি বলেছেন, তারেক রহমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরে আসবেন এটা আমরা আশা করি না।

৭ মে দুপুরে জোসেফ ক্রাউলির সঙ্গে তার নিউইয়র্ক অফিসে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমানসহ পাঁচ সদসস্যের একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করতে যান। এ সময় কংগ্রেসম্যান ক্রাউলি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পুত্র দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রসঙ্গে একথা বলেন।

প্রতিনিধি দল জানায়, এক প্রশ্নের জবাবে ক্রাউলি তাদের বলেছেন, “তারেক রহমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরে আসবেন, এটা আমরা আশা করি না।“

তাকে আরও প্রশ্ন করা হয়েছিল, “তারেক রহমান কি বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরে আসার নৈতিক অধিকার রাখেন?“

উত্তরে তিনি বলেন, “আই হোপ নট।“

প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিজাম চৌধুরী, সহ-সভাপতি আকতার হোসেন ও সদস্য শাহানারা রহমান।

প্রতিনিধিদল কংগ্রেসম্যান ক্রাউলির সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সম্প্রতি সেক্রেটারি অব স্টেট হিলারি ক্লিনটনের বাংলাদেশ সফর, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্তর্জাতিক মান, তারেক জিয়ার বিচার ও তার ভবিষ্যতে বাংলাদেশে রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার এবং সাম্প্রতিককালে জামায়াত-বিএনপির অহেতুক হরতাল এবং  মানুষকে পুড়িয়ে মারা , জ্বালাও পোড়াওসহ রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস ও আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর আক্রমণসহ বিভিন্ন  বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ড. সিদ্দিকুর রহমান আলোচনা সূত্রপাত করে সামগ্রিক অবস্থার বিবরণ তুলে ধরেন।

এ সময় কংগ্রেসম্যান জোসেফ ক্রাউলিকে বিএনপি-জামায়াতের কিছু ধ্বংসাত্মক কার্যকালাপের সচিত্র প্রতিবেদনও হস্তান্তর করেন তারা।

পরে নিজাম চৌধুরী জানান, ড. সিদ্দিকুর রহমান ড. ইউনূস প্রসঙ্গে ক্রাউলির করা এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, “ড. ইউনুসের প্রতি সরকারের কোনো বিরূপ নীতি থাকলে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট করার প্রস্তাব দিতেন না। ক্রাউলিও মনে করেন ড. ইউনুসের ব্যপারটি এখন তামাদি হয়ে গেছে (‘Done deal’)।

প্রতিনিধিদল ক্রাউলিকে স্মরণ করিয়ে দেয়, বাংলাদেশের বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমেরিকা ও ইউরোপের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলে বিগত সোয়া তিন বছরে বাংলাদেশে কোনো সন্ত্রাসী কার্যকলাপ সংঘটিত হয়নি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে তারা জানান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান পৃথিবীর কোনো দেশে নেই। আমাদের সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে।

রাজনীতি