দেশের অর্থনীতির গতিধারায় হরতাল বন্ধ হয়ে যাবে বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর হাটখোলায় শহীদ নজরুল ইসলাম সড়কে ফেডারেশন অব চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) দ্বিতীয় ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
এফবিসিসিআই’র সভাপতি একে আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক ও আকরামউদ্দিন, মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু প্রমুখ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন অর্থনীতিতে যে অবস্থানে আছে, এ অবস্থান থেকে আমাদের পিছু হটার আর কোনো সুযোগ নেই।’
বিরোধী দলের প্রতি উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনারা আর বেশিদিন হরতাল করতে পারবেন না। অর্থনীতির যে শক্তি এ দেশে তৈরি হয়েছে, সে শক্তিই হরতাল বন্ধ করবে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘প্রতিনিয়তই আমাদের বাজেটের আকার বড় হচ্ছে। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রাও বাড়ছে। তারপরও অর্থনীতিতে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। আগেও আমরা বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। এবারও সক্ষম হবো।’
এফবিসিসিআই’র সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, ‘বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মকাণ্ডে আমাদের অর্থনীতি অস্থির হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় দেশের বিনিয়োগকারীরাই দেশে বিনিয়োগে উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন। বিদেশি বিনিয়োগকারীরাতো আসবেনই না।’
এজন্য তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে হরতাল বন্ধের আহবান জানান।
তিনি বলেন, ‘আগে আমরা ব্যাংক থেকে ১০ থেকে ১২ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়েছি। এখন তা নিতে হচ্ছে ১৭ থেকে ১৮ শতাংশ সুদে।’
এজন্য তিনি সরকারকে দায়ী করে বলেন, সরকার ব্যাংক থেকে অতিমাত্রায় ঋণ নেওয়ার কারণে এমনটি হয়েছে। সরকার যদি ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া বন্ধ না করেন তাহলে আগামীতে দেশের অর্থনীতি পঙ্গু হয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আনিসুল হক বলেন, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফেডারেশনের সবাইকে দল-মত নির্বিশেষে হরতালের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়ার আহবান জানান তিনি।