ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) নুরুল ইসলাম বলেন, আদালতের ভেতরে বিএনপি নেতাদের কাউকে গ্রেপ্তার করা হবে না। তবে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণের বাইরে বের হলে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।
সোমবার সকালে সাংবাদিকদের কাছে নুরুল ইসলাম একথা বলেন।
হরতালে ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় শাহবাগ থানা ও তেজগাঁও থানায় দায়ের করা দুটি মামলায় বিএনপি নেতাদের আসামি করা হয়েছে।
হাইকোর্টের প্রতিটি ফটকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রত্যেককে তল্লাশি করে ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে।
রোববার বিকেলে আত্মগোপনে থাকা বিএনপি নেতারা গ্রেপ্তার এড়িয়ে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন। রাতভর সেখানেই ছিলেন।
এরপর সোমবার সকালে নেতাদের সবাই একে একে বাইরে বের হন। জামিনের জন্য তারা আদালতে এসেছেন।
এদিন দুপুর দুইটায় বিচারপতি ময়নুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি নজরুল ইসলাম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে তাদের জামিন শুনানি হওয়ার কথা।
সকালে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এ্যানী বললেন, ‘সরকার আমাদের অবরুদ্ধ করে রেখেছে। এ কারণে আমরা কৌশলে এখানে আসতে বাধ্য হয়েছি।’
বিএনপি নেতারা সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জয়নুল আবেদিনের ২৩০ নম্বর কক্ষে যান।
হরতালের সময় ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে শাহবাগ ও তেজগাঁও থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দুটিতে জামিন নিতে তারা আদালতে হাজির হয়েছেন।