হরতালে বোমা হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় বিএনপির শীর্ষ নেতাদের জামিন আবেদন করতে হাইকোর্টে আসা নিয়ে আদালত এলাকায় ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। হাইকোর্টের প্রত্যেকটি গেটে পুলিশ, আর্মড পুলিশ, র্যাব সর্তক অবস্থান নিয়ে আছে। হাইকোর্টের ভেতরে কেউ যেতে চাইলে তাকে তল্লাশি করা হচ্ছে। সন্দে হলে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, হাইকোর্টের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে। কোনো রকম বিশৃঙ্খলা ঘটানোর সুযোগ নেই।
কত সংখ্যক পুলিশ সদস্য অবস্থান করছে তা তিনি জানাতে চাননি।
সাধারণ মানুষদেরও দৃষ্টি এখন হাইকোর্টের দিকে। আদালতে কি হচ্ছে তা নিয়ে তাদেরও নানা জিজ্ঞাসা। বিএনপির শীর্ষ নেতারা কি জামিন পাবেন না তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে তা নিয়েই আলোচনা সর্বত্র।
পুলিশের তল্লাশিসহ, নেতা-কর্মীদের হাইকোট এলাকায় আসা নিয়ে আশেপাশের এলাকায় যানজটেরও সৃষ্টি হয়েছে। এটি অন্য দিনের চেয়ে বেশি।
জানা যায়, আর কিছুক্ষণের মধ্যেই বিচারপতি আনোয়ারুল হক ও বিচারপতি মুজিবুর রহমান মিয়ার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদন করা হবে। এ মামলা দু’টির অভিযুক্ত অনেক নেতা হাইকোর্টে উপস্থিত রয়েছেন।
সোমবার সকাল নয়টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের ৩৩৫ নম্বর কক্ষের দেখা গেছে বিএনপির নেতা মির্জা আব্বাস, রুহুল কুদ্দস তালুকদার দুলু, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রমুখ নেতাদের। এই কক্ষটি অ্যাড. মহিউদ্দিন আহমেদের।
এছাড়া ৪১১ নম্বর কক্ষে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, নাজিম উদ্দিন আলম, সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে দেখা গেছে।
তবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও রয়েছেন বলে খবর চাউর হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি।
রোববার বিকেল থেকে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা আইনজীবী সমিতি ভবনে অবস্থান করছেন। বিকেল তিনটার পর থেকে বিভিন্ন কৌশলে তারা ভবনটিতে ঢুকে পড়েন বলে জানিয়েছে সূত্র।
প্রসঙ্গত, সচিবালয়ের ভেতরে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনায় শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় মির্জা ফখরুলসহ ২৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় তেজগাঁও থানায় দায়ের করা মামলায় আসামি করা হয়েছে মির্জা ফখরুলসহ মোট ৪৪ জনকে।