রবীন্দ্রনাথের সার্ধশততম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের সমাপনী ও ১৫১তম জন্মবার্ষিকীর আনুষ্ঠানিকতার উদ্বোধন ঘোষণা করে বাংলাদেশের প্রধানমনন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্ব অটুট থাকবে।
তিনি বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যকর্ম ভারত ও বাংলাদেশের মাঝে সেতুবন্ধন সৃষ্টি করেছে। তার রচিত গান আজ দুই দেশের জাতীয় সংগীত। রবীন্দ্র সাহিত্য আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য পাথেয় হয়ে থাকবে।
রোববার সকাল ১০টায় ঢাকায় বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে এই অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন ও সংস্কৃতি সচিব সুরাইয়া বেগম।
প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতার কথা স্মরণ করে বলেন, ‘শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী সেইসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিবেশী দুটি দেশের মাঝে সমস্যা থাকতেই পারে। তবে সমাধান যে সম্ভব তা আমরা প্রমাণ করেছি।‘
দক্ষিণ এশিয়াকে একটি সমৃদ্ধ অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়াকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলবো।’
ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেন, রবীন্দ্র সার্ধশত বাষির্কীর সমাপনী অনুষ্ঠানে ভারতবর্ষকে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি।
‘বাংলাদেশে আসা আমার জন্য সব সময়ের জন্যই আনন্দের। একজন বাঙালি হিসেবে এখানে এসে আমি মনে করি নিজেদের মধ্যেই এসেছি।’
প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারত, বাংলাদেশসহ বিশ্বের সম্পদ। বাংলাদেশের শাহজাদপুর, শিলাইদহ, পতিসর এর প্রাকৃতিক রূপ তার সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে।’
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘দু’দেশের জনগণের মধ্যে সুসম্পর্ক ভবিষ্যতে মহত্তর পর্যায়ে উন্নীত করা হবে। এই যৌথ আয়োজন আমাদের ঐক্যবদ্ধ করেছে।’
সভাপতির বক্ত্যবে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ রবীন্দ্রচর্চার পরিসর বাড়ানোর প্রয়োজনীতার কথা উল্লেখ করেন বলেন, বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের পথ প্রদর্শক।