এশিয়ার সবচাইতে বড় তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্মেলন ‘ই-এশিয়া ২০১১’ বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হচ্ছে।
তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দেশি বিদেশি দুই হাজার তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ অংশ নেবে এবং তথ্যপ্রযুক্তির ওপর ৩০টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান এ আয়োজন সম্পর্কে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘ই-এশিয়া২০১১ আয়োজনের মূল লক্ষ্য হলো আইসিটি ভিত্তিক উন্নয়ন প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্য ও সক্ষমতা বাইরের দেশের প্রতিনিধিদের সম্মুখে উপস্থাপন। দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর পথ খোঁজা এবং প্রযুক্তি নির্ভর উন্নয়নে দেশীয় দেশগুলোর মধ্যে পারস্পারিক সহযোগিতার পথ প্রশস্ত করা।’
তিনি বলেন, ‘সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের আইসিটি পণ্য ও সেবা প্রদর্শনী, আইসিটি নির্ভর উন্নয়ন সম্পর্কিত বিভিন্ন সেমিনার, বর্হিবিশ্বের নেতৃবৃন্দের কাছে বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক উপস্থাপনা, ডিজিটাল উদ্যোগের জন্য পুরস্কার ইত্যাদি বিষয় অর্ন্তভুক্ত থাকবে। এশিয়ার পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন ডিজিটাল উদ্যোগ প্রদর্শিত হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এ সম্মেলন উপলক্ষ্যে আয়োজিত মেলায় দেশীয় প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বিদেশী বিনিয়োগকারীরা দেশের তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সুবিধা যাচাই করার সুযোগ পাবে। এর ফলে দেশের আইটি খাতে বিদেশি বিনিয়োগের সম্ভাবনাও তৈরি হবে।
ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘প্রদর্শনিতে মালয়েশিয়া, শ্রীলংকা, জাপান, নেদারল্যান্ড ও থাইল্যান্ডের কান্ট্রি প্যাভেলিয়ন থাকবে। সম্মেলন কেন্দ্রে হারমনি ও মিল্কি ওয়েতে থাকবে এ প্রদশর্নী। এছাড়াও কেন্দ্রের বাইরে তাবুতেও স্টল থাকবে। যেখানে বাংলাদেশের আউটসোর্সিং এর কোম্পানিগুলো তাদের সক্ষমতা তুলে ধরতে পারবে।’
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে এশিয়ার সেরা ই-উদ্যোগগুলোকে পুরস্কৃত করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আইসিটি সচিব রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির নির্বাহী পরিচালক ড. জ্ঞানেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, জিপি আইটির নির্বাহি রনি রিয়াদ রশীদ প্রমুখ।