সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমস ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য আর কোনো আঞ্চলিক অ্যাথলেটিক ছিল না এতদিন। কিন্তু এ অঞ্চলের অ্যাথলেটদের প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির জন্য নতুন একটি টুর্নামেন্ট চালু করতে যাচ্ছে সাউথ এশিয়ান অ্যাথলেটিক ফেডারেশন।
ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের নতুন টুর্নামেন্টের নাম সাউথ এশিয়ান অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপ। সোমবার মালদ্বীপের রাজধানী আদ্দু শহরে অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান অ্যাথলেটিক ফেডারেশনের কাউন্সিল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার নতুন এ অ্যাথলেটিক প্রতিযোগিতার যাত্রা শুরু হবে ঢাকা থেকে। ২০১৯ সালের প্রথম দিকে হবে এ টুর্নামেন্ট। আয়োজক বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক ফেডারেশন চ্যাম্পিয়নশিপের দিনক্ষণ ঠিক করবে। মালদ্বীপ থেকে জাগো নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব মন্টু।
কেবল সিনিয়রদের জন্যই নতুন প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করেনি দক্ষিণ এশিয়ার অ্যাথলেটিক কর্মকর্তারা। বয়সভিত্তিক পর্যায়ের একটি টুর্নামেন্ট হয়েছিল বছর আটেক আগে। ফাইলবন্দী হয়ে থাকা ওই টুর্নামেন্ট আবার নিয়মিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে সংস্থাটি।
এর বাইরেও কয়েকটি টুর্নামেন্ট আয়োজনেরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ওই সভায়। জুনিয়র ও যুব চ্যাম্পিয়নশিপ নামে তারা আয়োজন করবে দুটি বয়স ভিত্তিক প্রতিযোগিতা। একটি সাউথ এশিয়ান জুনিয়র অনূর্ধ্ব-২০ অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপ এবং অন্যটি সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ অনূর্ধ্ব-১৮ অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপ।
জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজক শ্রীলংকা। আগামী বছর ৫ ও ৬ মে কলম্বোয় অনুষ্ঠিত হবে অনূর্ধ্ব-২০ বয়সের এ টুর্নামেন্ট। যুব চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করবে মালদ্বীপ। আগামী বছর মালেতে বসবে অনূর্ধ্ব-১৮ বছরের এ প্রতিযোগিতা। তবে দিনক্ষণ এখনো ঠিক হয়নি। আয়োজক মালদ্বীপ নিজেদের সুবিধামতো তারিখ ঠিক করবে।
আগামী বছর ২৫ ও ২৬ মার্চ ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে হবে ক্রসকান্ট্রি অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপ। রাস্তা, জঙ্গল আর পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে হয়ে থাকে এ দৌঁড় প্রতিযোগিতা। বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা অভ্যস্ত নন এ প্রতিযোগিতায় খেলার। তবে অ্যাথলেটিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে অ্যাথলেট পাঠানো হবে।
সাউথ এশিয়ান অ্যথলেটিক চ্যাম্পিয়ন শুরু করার সিদ্ধান্তে খুশি বাংলাদেশের দ্রুততম মানব মেজবাহ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের অ্যাথলেটরা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার সুযোগ খুব কম পান। এ টুর্নামেন্ট চালু হলে সবাই খেলতে পারবেন। যা অ্যাথলেটিকের উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।’