জেলার বেদগ্রাম এলাকায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ ৭ জন নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার রাতে ৮টার পরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের জেলা শহরের বেদগ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রায় আধা ঘন্টা ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিলো।
ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ আড়াইশ’ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতদের পরিচয় জানা গেছে, এরা হলেন- গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাঠি গ্রামের লুৎফর খানের ছেলে ইউনুস খান (৪৭), মুকসুদপুর উপজেলার কমলাপুর গ্রামের ফকির উদ্দিনের ছেলে বাবুল (৩০), বাগেরহাট জেলার মোড়লডাংগা গ্রামের শাহিন মোড়ল (৪৫), তার শিশু পুত্র মাহিন (৫), একই উপজেলার বদিউজ্জামান মুকুলের ছেলে মামুন (৩০) ও কালাদিয়া গ্রামের মৃত ইসলাম খানের ছেলে রিপন খান (৩০) এবং পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া গ্রামের হাইনুর রফিকের ছেলে হালিম (৩৫)।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি সেলিম রেজা জানান, নিহতদের লাশ রাতেই তাদের পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
ওসি জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পিরোজপুরগামী দোলা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ঘটনাস্থলে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কাঠ বোঝাই ট্রাকের পিছনে ধাক্কা দেয়। এতে বাসটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে ট্রাকের ভিতরে ঢুকে যায়। এতে ঘটনাস্থলে ১ জন নিহত ও অন্তত ২৫ জন আহত হয়। হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে আনার পথে আরো ৫ জন মারা যায় এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো ১ শিশুর মৃত্যু হয়।
আহতদের গোপালগঞ্জ আড়াইশ’ শয্যা জেনারল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। হতাহতদের বাড়ি পিরোজপুর ও গোপালগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন এলাকায়। দুর্ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় জনগন হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
তিনি জানান, দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি শহরের পুলিশ লাইন মোড়ে যাত্রী নামিয়ে দ্রুতগতিতে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকের সাথে ধাক্কা লাগায়।
ঘটনার পর পর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল এলাকা পরিদর্শন করে হতাহতদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন।
গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের টীম লিডার রমেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, দুর্ঘটনা কবলিতদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়।
গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে উপ-পরিচালক চৌধুরী ফরিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, হাসপাতালে যারা আহত হয়ে এসেছেন তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।