বিডিআর সদর দফতরের পিলখানা ট্র্যাজেডির ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যার মামলায় সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো রায় পড়া শুরু করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চে আজ সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে অসমাপ্ত রায় পড়া শুরু হয়।
এ সময় রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, ভাই ভাইকে হত্যা করতে পারে তা আমরা বিশ্বাস করতে পারি না। আমাদের সংস্কৃতি ও শিক্ষা ব্যবস্থায় এধরনের শিক্ষা কোথাও নেই।
রায়ের পর্যবেক্ষণের বিষয়ে তিনি আরও জানান, এধরনের পৈচাশিক ঘটনা মেনে নেয়া যায় না। মূলত নতুন সরকারকে উৎখাত করার জন্য এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা ন্যায়বিচারের জন্য অপেক্ষা করছি। জর্জকোট যে রায় দিয়েছেন আদালত সেটা বহাল রাখবে বলে আমরা আশা করছি।
আসামি সংখ্যার দিক দিয়ে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এ মামলার রায় পড়া শুরু হয় গতকাল রোববার সকাল ১০টা ৫৪ মিনিটে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী বলেন, রায়ে এক হাজার পৃষ্ঠার পর্যবেক্ষণ রয়েছে।
বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি শওকত হোসেন রোববার জানিয়েছিলেন, বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের পর্যবেক্ষণ পড়া শেষে হলে মূল রায়ে (আদেশের অংশ) কার দণ্ড কী তা ঘোষণা শুরু হবে।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় ওই হত্যাযজ্ঞে ৫৭ কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন প্রাণ হারান। এই হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর বিচারিক আদালত রায় দিয়েছিলেন। আজ হাইকোর্টের রায়ের মধ্য দিয়ে মামলাটির বিচারপ্রক্রিয়ার দুটি ধাপ শেষ হতে যাচ্ছে।
রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিতে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। নিরাপত্তা জোরদারে আইন শৃংখলা বাহিনীর বাড়তি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পরিচয় পত্র প্রদর্শন ও যৌক্তিক কারণ ব্যতিত সুপ্রিমকোর্ট অঙ্গনে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।