মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তাকে ‘বুড়ো’ বলে অপমান করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। কিন্তু তিনি কখনোই কিম জং উনকে ‘খাটো এবং মোটা’ বলবেন না। রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেয়া এক টুইটে এসব কথা বলেন ট্রাম্প।
ভিয়েতনামে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থার (অ্যাপেক) সম্মেলনে অংশ নেয়ার পর ট্রাম্প টুইট করেন। ধারাবাহিক কয়েকটি টুইটে তিনি বলেন, পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির জবাবে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং তিনি (শি জিনপিং) উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক শক্তিচ্যুত করতে চান।
ট্রাম্প এক টুইটে বলেন, ‘আমাকে বুড়ো বলে কেন অপমানিত করলেন কিম জং উন এবং আমি কখনোই তাকে ‘খাটো এবং মোটা’ বলব না। বেশ, আমি তার বন্ধু হওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি এবং হয়তো একদিন তার বন্ধু হয়ে যাবো!’
পরে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এটা খুব, খুব ভালো হবে যদি তিনি এবং কিম বন্ধু হয়ে যান। এটা অদ্ভূত ঘটনা হতে পারে, তবে এটি হওয়ারও সম্ভাবনা আছে।’
পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির জেরে অতীতেও কিম এবং ট্রাম্প বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানার উপযোগী পারমাণবিক বোমাবাহী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির লক্ষ্যে উত্তর কোরিয়া কাজ করছে বলে দাবি করেছে পিয়ংইয়ং। তবে ট্রাম্প তা ঠেকানোর অঙ্গীকার করেছেন।
গত ৩ সেপ্টেম্বর সবেচেয়ে শক্তিশালী ষষ্ঠ পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালানোর অভিযোগে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে আবারো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জাতিসংঘ। গত সেপ্টেম্বরে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ট্রাম্পকে ‘মানসিক বিকারগ্রস্ত মার্কিন বৃদ্ধ’ বলে মন্তব্য করেন। যুক্তরাষ্ট্র হুমকিতে পড়লে উত্তর কোরিয়ার ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষকে ‘পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন’ করে দেবেন বলে জাতিসংঘে দেয়া প্রথম ভাষণে পিয়ংইয়ংকে হুমিক দেন ট্রাম্প।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট মন্ত্রী রি ইয়ংয়ের ভাষণের পর ট্রাম্প টুইটে বলেন, জাতিসংঘে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বক্তব্য শুনলাম। তিনি যদি ‘ক্ষুদে রকেট মানবের’ মতো কথা বলেন, তাহলে তারা আর টিকে থাকতে পারবে না।
জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কয়েক ডজন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এমনকি তাদের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে কোনো ধরনের আপোষ করা হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে দেশটি। উত্তর কোরিয়া বলছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের মোকাবেলার জন্য তাদের এই কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ।
উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে চলমান উত্তেজনায় সামরিক হস্তক্ষেপসহ সব ধরনের বিকল্প ব্যবস্থা টেবিলে আছে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে সঙ্কটের কূটনৈতিক সমাধানেই গুরুত্ব দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
সূত্র : রয়টার্স।