উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে সৃষ্ট সংকটের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি বিমানবাহী রণতরীর নেতৃত্বে নৌবাহিনীর এক বিরল সামরিক মহড়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধজাহাজ যোগ দিচ্ছে। প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিমাঞ্চলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় শনিবার থেকে চারদিনের এ যৌথ সামরিক মহড়া শুরু হতে যাচ্ছে। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চলতি এশিয়া সফরে পিয়ংইয়ংয়ের পরমাণু কর্মসূচির বিষয়ের ওপর বেশী গুরুত্ব দেয়া হয়। খবর এএফপি’র।
সিউলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, সামরিক শক্তি প্রদর্শনের এ নৌ মহড়ার নের্তৃত্বে থাকছে যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি রণতরী ইউএসএস রোনাল্ড রিগান, ইউএসএস নিমিতজ ও ইউএসএস থিওডোর রুজভেল্ট।
দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনীর সাতটি জাহাজ এ যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নেবে। তাদের এই সাত জাহাজের মধ্যে তিনটি ডেস্ট্রোয়ার ও চারটি ইস্কর্ট শিপ রয়েছে।
এক দশকের মধ্যে এ অঞ্চলে এটি তাদের প্রথম সামরিক মহড়া।
এক বিবৃতিতে মার্কিন প্যাসিফিক ফ্লীটের কমান্ডার স্কট সুইফট বলেন, ২০০৭ সালে এ অঞ্চলে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী এ ধরণের মহড়া চালায়।
মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘এ সামরিক মহড়ার লক্ষ্য হচ্ছে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করা এবং এটি পিয়ংইয়ংয়ের উস্কানিমূলক যেকোন কর্মকান্ড প্রতিহত করার প্রস্তুতির অংশ ও বটে।’
এদিকে পারমাণবিক ক্ষমতাধর দেশ উত্তর কোরিয়া তাদের সামরিক কৌশল বা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জবাবে ওয়াশিংটন ও সিউলের এ ধরণের আগ্রাসী সামরিক মহড়ার বারবার নিন্দা জানিয়ে আসছে।
উল্লেখ্য, বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টে দেয়া এক ভাষণে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে ‘পরখ’ না করার ব্যাপারে উত্তর কোরিয়াকে হুশিয়ার করে দিলেও কিছুটা নরম সুরে তিনি পিয়ংইয়ংয়ের তরুণ নেতা কিম জং-উনকে একটি ‘সুন্দর ভবিষ্যতের পথ বেছে নেয়ার’ প্রস্তাব দেন।