ভুয়া নাম ঠিকানা ব্যবহার করে ইস্যু করা পাইওনিয়ার মাস্টার কার্ড ও বিভিন্ন অনলাইন একাউন্টের ইলেকট্রিক ট্রানজেকশনের মাধ্যমে অর্থ পাচার করার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার (৯ আগস্ট) দুপুরে সিআইডি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএস) মোল্লা নজরুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেফতার পাঁচজন হলেন- ঢাকা কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম ওরফে ইরমান (২২), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের স্নাতকের শেষ বর্ষের আসকার ইবনে ইসহাক শাকিল (২৪), সরকারি তিতুমীর কলেজ থেকে ২০১৫ সালে মার্কেটিং বিভাগ থেকে পাস করা সৈয়দ মেহেদী হাসান (২৯), কেরানীগঞ্জের দোকানদার (বিকাশ-ফ্ল্যাক্সি লোড) হায়দার হোসেন (৩০) ও ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির আইনের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী জহিরুল হক (২৫)।
মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতাররা ডলার কেনা বেচা চক্রের সদস্য। তারা অনলাইনে অ্যাকাউন্ট খুলে এবং ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অবৈধভাবে ডলার ক্রয় করত। এরপর মুদ্রাপাচারকারীদের চাহিদা অনুসারে তাদের অ্যাকাউন্ট নম্বরে ট্রান্সফার করে বিদেশে অর্থপাচারের সুযোগ করে দিত।
গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে ১৪১টি মাস্টার্ড কার্ড, নগদ ৯ লাখ ২১ হাজার ৫০০ টাকা, একটি কম্পিউটার, একটি লেমিনেটিং মেশিন, প্রিন্টার কাম স্ক্যানার, ইসলামী ব্যাংকের দুইটি সিল, দুইটি ল্যাপটপ, ৩২টি চেক ও তিনটি মোবাইল উদ্ধার করেছে সিআইডির সদস্যরা।
তবে তাদের অনলাইন অ্যাকাউন্ট এবং ক্রেডিট কার্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো ব্যাংকের হিসাব নম্বরের লিঙ্ক না থাকায় কী পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে সেই হিসাব কিছু জানানো হয়নি।
গ্রেফতার পাঁচজনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে রাজধানীর হাজারীবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।