প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারি তাদের মায়ের সঙ্গে সর্বশেষ ফোনকলের কথা মনে করে এখনও দুঃখ পায়। এই ফোনের কথা তারা ভুলতে পারে না। এটি তাদের মনে গেঁথে আছে।
উইলিয়াম জানায়,স্কটল্যান্ডে বালমোরালে কাজিনদের সাথে উভয়ে চমৎকার সময় কাটানোর সময়ে তারা খুব দ্রুত মাকে বিদায় জানিয়ে ‘খুবই তাড়াহুড়ো’ করে ফোন রেখে দেয়। তারা বলেছিল মাকে, পরে দেখা হবে।
উইলিয়াম বলছে, যদি জানতাম এরপর কি হবে তাহলে এমনটি কখনই করতাম না।
প্রিন্সেস ডায়নার মৃত্যুর সময় তার ছোট ছেলে প্রিন্স হ্যারির বয়স ছিল ১২ বছর।
হ্যারি বলেন, ‘ওই ফোন নিয়ে সম্ভবত আজীবন আমার আফসোস থেকে যাবে। কত অল্প সময় আমাদের মধ্যে কথা হয়েছিল!’
ডায়নার মৃত্যুর ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আইটিভিতে একটি প্রামাণ্যচিত্রে তার দুই ছেলে এসব কথা বলে। তারা তাদের মায়ের সঙ্গে খুব মজার ও মধুর কিছু স্মৃতির কথাও উল্লেখ করে।
তারা বলে, তাদের মা তাদেরকে ‘দুষ্টুমি’ করার জন্য উৎসাহ দিতো।
খবর এএফপি’র।
তারা আরো জানায়, ডায়না নিজেও ‘বাচ্চাদের মতোই ছিলো’। তিনি ‘প্রাসাদের বাইরের প্রকৃত জীবন উপভোগ করেন।’
অনুষ্ঠানটিতে ডায়নার সঙ্গে তার ছেলেদের কিছু অপ্রকাশিত ছবিও দেখানো হয়।
মায়ের সম্পর্কে কথা বলার সময় প্রিন্স হ্যারি ও প্রিন্স উইলিয়াম ডায়নার ব্যক্তিগত ছবির অ্যালবাম দেখছিল।
এ সময় তারা তাদের মায়ের সঙ্গে কাটানো শৈশবের কিছু মধুর স্মৃতির কথা জানায়।
ডায়না গৃহহীন ও এইডস রোগীদের জন্য বিশ্বব্যাপী প্রচারণা চালাতেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালের ৩১ আগস্ট প্যারিসে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রিন্সেস ডায়না নিহত হন।
তখন প্রিন্স উইলিয়ামের বয়স ছিল ১৫ বছর এবং প্রিন্স হ্যারির ছিল ১২ বছর।
প্রিন্স উইলিয়াম বলেন, ‘আমরা তার এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে চাই এবং আমরা মনে করি এটাই সঠিক পথ।