হামবুর্গে ট্রাম্প-পুতিন গোপন বৈঠকের কথা স্বীকার করল হোয়াইট হাউজ

হামবুর্গে ট্রাম্প-পুতিন গোপন বৈঠকের কথা স্বীকার করল হোয়াইট হাউজ

চলতি মাসের শুরুতে জার্মানির হামবুর্গে জি২০ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি গোপন বৈঠক করেছেন বলে মঙ্গলবার স্বীকার করেছে হোয়াইট হাউজ। এই বৈঠকের বিষয়টি আগে প্রকাশ করা হয়নি।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, এ মাসের শুরুতে জার্মানিতে জি২০ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভøাদিমির পুতিন আনুষ্ঠানিক শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হবার কয়েক ঘণ্টা পর, তারা দ্বিতীয় দফায় আরেকটি বৈঠক করেন, যা এ পর্যন্ত গোপন রাখা হয়েছিল।
হোয়আটি হাউজের একজন কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, দুইদিনব্যাপী জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের শেষ দিন রাতে দুই নেতা নৈশভোজকালে কথা বলেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, কেবল দম্পতিদের জন্য একটি নৈশভোজের আয়োজন ছিল। নৈশভোজের শেষ দিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পুতিনের সঙ্গে কথা বলেন।
এই দ্বিতীয় বৈঠকটির কথা স্বীকার করায় বৈঠকে কী কথা হয়েছে, সেখানে আর কারা উপস্থিত ছিলেন এবং কেন এ বৈঠকের কথা এতদিন চেপে রাখা হয়েছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
তবে মঙ্গলবার এক টুইটে ট্রাম্প পুতিনের সঙ্গে ডিনারের সময় তার কথোপকথনে অসমীচীন কিছু থাকার ইঙ্গিতের সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘পুতিনের সঙ্গে গোপন ডিনারের ভুয়া খবর ‘অসুস্থ’।
তিনি বলেন, ‘সকল জি২০ নেতা, তাদের স্বামী বা স্ত্রীকে জার্মানির চ্যান্সেলর আমন্ত্রণ দিয়েছিলেন।
সংবাদ মাধ্যম জানতো।’
তিনি আরো বলেন, ‘ভুয়া খবর দিন দিন আরো অসৎ হয়ে উঠছে। এমনকি, জার্মানিতে জি২০ শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সম্মানে আয়োজিত একটি নৈশভোজকেও অনিষ্টকর মনে হয় মতো করে হাজির করা হয়েছে।’
হোয়াইট হাউজের একজন কর্মকর্তা ডিনার শেষে সংক্ষিপ্ত আলাপের কথা উলেলক করে ‘দ্বিতীয় বৈঠকের’ কথা অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন, ‘হোয়াইট হাউজ দ্বিতীয় বৈঠকের কথা গোপন করার চেষ্টা করেছে এমন ইঙ্গিত মিথ্যা, বিদ্বেষপ্রসূত অযৌক্তিক।’
তিনি বলেন, ডিনারে ট্রাম্প ানেক নেতার সঙ্গে কথা বলেন। শেষের দিকে তিনি পুতিনের দিকে এগিয় যান এবং অল্প সময় কথা বলেন।
এ খবর এমন সময় প্রকাশিত হল যখন ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার সম্পৃক্ততা ছিল কিনা, তা নিয়ে ওয়াশিংটনে তদন্ত চলছে।
সে তদন্তে সর্বশেষ ট্রাম্পের বড় ছেলে ডোনাল্ড জন ট্রাম্প জুনিয়র এবং তার নির্বাচনীপ প্রচারণা দলের সাবেক ব্যবস্থাপক পল ম্যানাফোর্রে সাথে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেছে মার্কিন সিনেট কমিটির তদন্তকারীরা।

আন্তর্জাতিক