সাভারের আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের চৌরাবালি এলাকায় ‘জঙ্গি আস্তানা’ থেকে আত্মসমর্পণকারী চার ‘জঙ্গি’ সদস্যকে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার তাদের ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে সাভার থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাইরুস তাসনিন প্রত্যেকের বিরুদ্ধে চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
চার জঙ্গি হলেন মোজাম্মেল হক, রাশেদুন্নবী, ইরফানুল ইসলাম ও আলমগীর হোসেন। মোজাম্মেল হক তাদের দলনেতা বলে র্যাব জানায়।
গতকাল রোববার বেলা আড়াইটার দিকে সংবাদ ব্রিফিংয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, আটক চারজন গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারিতে হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী নব্য জেএমবির তামিম গ্রুপের সদস্য। ওই এলাকায় তাদের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল।
মুফতি মাহমুদ বলেন, জঙ্গিরা বের হয়ে আসার পর বাড়িটিতে বেশ কিছু শক্তিশালী বিস্ফোরকের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। সেগুলো পর্যায়ক্রমে নিষ্ক্রিয় করার কাজ করবে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল।
অভিযান শেষে আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে মুফতি মাহমুদ খান আরও বলেন, মোজাম্মেল হক, রাশেদুন নবী, আলমগীর হোসেন, ইরফানুল হক নামের আটক চার যুবক নিজেদের পোশাককর্মী পরিচয় দিয়ে এক মাস আগে বাড়িটি ভাড়া নেয়। ভাড়া নেয়ার সময় তারা বাড়ির মালিককে কোনো কাগজপত্র দেয়নি। সারওয়ার তামিম গ্রুপের সদস্য ছিলেন তারা।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকার র্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। জীবিত আটক করায় তাদের কাছ থেকে অনেক বিষয়ে তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করেন তিনি।
বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব রাত ১টার দিকে বাড়িটি ঘিরে অভিযান চালায়। রাত ৩টার দিকে ‘জঙ্গিরা’ জানতে পারেন র্যাব বাড়িটি ঘিরে রাখে।
রোববার সকাল ৮টার দিকে ‘জঙ্গিরা’ র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছোড়ে। র্যাব বারবার তাদের আত্মসমর্পণের জন্য মাইকে আহ্বান জানায়।
সবশেষ তাদের বলা হয়, দুপুর ১২টার মধ্যে আত্মসমর্পণ না করলে র্যাব অভিযান চালাবে। এতে ‘জঙ্গিরা’ নিহত হতে পারে। এরপর এক ‘জঙ্গি’ আত্মসমর্পণ করেন। তার মাধ্যমে বাকি তিন ‘জঙ্গিকে’ আত্মসমর্পণ করানো হয় বলেও জানান মুফতি মাহমুদ খান।