এশিয়ায় অনুষ্ঠিত হয় ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ওই আসরের দুই ফাইনালিস্টও ছিল এশিয়ান। ভারত ও শ্রীলঙ্কা। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটিতে টিম ইন্ডিয়ার কাছে ৬ উইকেটে হেরে যায় লঙ্কানরা। মাহেলা জয়াবর্ধনের সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কা পেয়েছিল ২৭৪ রানের সংগ্রহ। জবাবে ১০ বল হাতে রেখেই মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মহেন্দ্র সিং ধোনির দল।
এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ফাইনালে হেরে যাওয়ায় কষ্ট পেয়েছেন লঙ্কানরা। ওই পর্যায়ে গিয়ে শিরোপা হাতছাড়া হলে কারই বা ভালো লাগে? ভালো লাগেনি ১৯৯৬ সালে লঙ্কানদের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গারও। স্বদেশীদের পারফরম্যান্সে হতাশ তিনি। ক্ষুব্ধও।
ছয় বছর পর ক্ষোভ উগড়ে দিলেন রানাতুঙ্গা! ফাইনালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ আনলেন এই কিংবদন্তী। ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় ওই ম্যাচে কী ঘটেছিল তা তদন্ত করার কথাও জানান রানাতুঙ্গা।
ভিডিও বার্তায় রানাতুঙ্গার ভাষ্য, ‘আমি তখন ধারাভাষ্য দিতে ভারতে ছিলাম। ফাইনালে শ্রীলঙ্কা হেরে যাওয়ায় মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেল। কিছু সন্দেহও দানা বাঁধল আমার মনে। ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার কী হয়েছিল, তা তদন্ত করে দেখা উচিত বলে আমি মনে করি। এখনই সবকিছু বলতে চাই না আমি। পরে জানাব। পুরো বিষয়টিরই তদন্ত হোক।’
এই খবর তোলপাড় সৃষ্টি করে দিয়েছে ক্রিকেট দুনিয়ায়। নড়ে বসেছে ভারতও। ফাইনালে খেলা ভারতীয় ক্রিকেটাররা বিরক্ত। বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৯৭ রান করা গম্ভীর বলেন, ‘রানাতুঙ্গার অভিযোগ শুনে আমি হতবাক হয়েছি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের একজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তির এই ধরনের মন্তব্য অত্যন্ত গুরুতর। আমার মনে হয়, সন্দেহ দূর করার জন্য নিজের দাবির স্বপক্ষে প্রমাণ পেশ করা উচিত তার।’
এদিকে রানাতুঙ্গার অভিযোগকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই বলেই মনে করছেন আশিস নেহরা। বলেন, ‘আমি প্রতিক্রিয়া দিয়ে রানাতুঙ্গার মন্তব্যকে মর্যাদা দিতে চাই না। এই ধরনের বক্তব্যের কোনো শেষ নেই। আমি যদি ১৯৯৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ জয় নিয়ে প্রশ্ন তুলি, তাহলে সেটা কি ভালো দেখাবে? তাই এ বিষয়ে কোনো কথা না বলাই শ্রেয়। তবে এই ধরনের কোনো ব্যক্তি এসব কথা বললে খারাপ লাগে।’