সিরিজ শুরু হওয়ার আগেই অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্ট ম্যাচটাই ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাদের শেষ ম্যাচ। ডোমিনিকায় সেটা খেলে ফেলেছেন। পাকিস্তান জাতীয় দলের জার্সিতে আর দেখা যাবে না মিসবাহ-উল-হক ও ইউনিস খানকে।
ইয়াসির শাহর অসাধারণ নৈপুণ্যে ডোমিনিকা টেস্টে ১০১ রানের জয় পেয়েছে পাকিস্তান। তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজটা ২-১ ব্যবধানে জিতেছে মিসবাহ বাহিনী। আর তাতে ইতিহাসটাও গড়ে ফেলল পাকিস্তান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে প্রথমবারের মতো টেস্ট সিরিজ জিতল এশিয়ান এই দলটি।
বলার অপেক্ষা রাখে যে, মিসবাহ-ইউনিসকে দারুণ এক বিদায়ী উপহার দিল পাকিস্তান। মনে রাখার মতোই। পাকিস্তান ক্রিকেটের বড়সড় এক আক্ষেপ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতে না পারার। সেই আক্ষেপটা ঘুচল। মিসবাহ-উল-হকের অসাধারণ নেতৃত্বে।
মিসবাহ-ইউনিসের বিদায়ী টেস্ট বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন ইয়াসির শাহ। প্রথম ইনিংসে ৪০ ওভারে চারটি মেডেনসহ ১২৬ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন পাকিস্তানি এই স্পিনার। দ্বিতীয় ইনিংসে আর ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেন ইয়াসির। ৩৭ ওভারে মেডেন নিয়েছেন ১৩টি। ৯২ রান খরচায় পকেটে পুরেছেন ৫ উইকেট। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিততে পারেননি।
ম্যাচ সেরা হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা রস্টন চেজ। দুই ইনিংসে তার রান সংখ্যা; ৬৯ ও ১০১*। তবে সিরিজ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন পাকিস্তানি স্পিনার ইয়াসিরই।
বিদায়ী টেস্টে ব্যাট হাতে ফিফটির দেখা পেয়েছেন মিসবাহ। প্রথম ইনিংসে করেছেন ৫৯ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য ভালো করতে পারেননি। থেমেছেন মাত্র ২ রানেই। তবে ডোমিনিকায় তার নেতৃত্ব ছিল চোখে পড়ার মতোই। স্বাগতিক ক্যারিবীয়দের তিনি বধ করেছেন দারুণ বিচক্ষণতায়।
বিদায় বলে দেয়া আরেক পাকিস্তানি ইউনিস ফিফটির দেখা পাননি। তবে তার অবদানও কম নয়। দুই ইনিংস মিলে অবশ্য ‘ফিফটি’ হয়েছে। ৫৩ রান করেছেন তিনি। প্রথম ইনিংসে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৮ রান, আর দ্বিতীয় ইনিংসে করেছেন ৩৫।