কারেকশনাল ম্যানেজার সম্মেলনে থাকছে না ভারত

কারেকশনাল ম্যানেজার সম্মেলনে থাকছে না ভারত

আগামী ১৬ মে থেকে ঢাকায় শুরু হতে যাওয়া চতুর্থ এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কারেকশনাল ম্যানেজারদের আঞ্চলিক সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে না ভারত।

আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি (আইসিআরসি) ও বাংলাদেশ কারা অধিদফতরের যৌথ আয়োজনে ১৬ মে থেকে ১৯ মে পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী ঢাকার লা মেরিডিয়ান হোটেলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

‘কারাগারের মধ্যে নিরাপত্তা এবং মানবিক চাহিদার ভারসাম্য’ শীর্ষক এবারের সম্মেলনে বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের ২৮ জন সিনিয়র কারেকশনাল ম্যানেজার অংশ নেবেন।

তবে আগের তিন সম্মেলনে ভারত অংশ নিলেও এবারই প্রথম ভারত এ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে না।

রোববার রাজধানীর কারা অধিদফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজনস) ব্রি. জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন।

তিনি বলেন, এবারের ঢাকা সম্মেলনে বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, চীন, ফিজি, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, পাকিস্তান, পাপুয়া নিউগিনি, ফিলিপাইন, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড ও ভানুয়াতু অংশ নিচ্ছে।

সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দেশের প্রতিনিধিরা নিজ দেশের কারাগারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ও সেবার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেবেন। এছাড়া গত বছর কলম্বোতে অনুষ্ঠিত সেমিনারের পর কারা সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে যেসব অগ্রগতি হয়েছে তা নিয়েও আলোচনা হবে।

পাশাপাশি এক্ষেত্রে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ নিয়েও আলোচনা-পর্যালোচনা হবে বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, ভারত সবসময় থাকে। কিন্তু এবার কেন থাকছে না তা জানা নেই। অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন কেসস্টাডি ব্যবহার করে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করবেন। কারাগার নির্মাণে ডিজাইন, পরিকল্পনা এবং পরিচালনার সময় নিরাপত্তা ও মানবিক অবস্থার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা করা হবে। এছাড়া সম্মেলনে বিভিন্ন প্যানেল আলোচনায় বন্দিদের শ্রেণিভুক্ত করা এবং তাদের পরিদর্শনের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।

আইজি প্রিজনস বলেন, আমরা আশা করি অংশগ্রহণকারীরা প্রতিবেশী দেশের অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণ থেকে শিখবে এবং তাদের নিজস্ব বন্দিদের সুবিধা আরও উন্নত করতে অনুপ্রাণিত হবেন।

আইসিআরসি বাংলাদেশের হেড অব ডেলিগেশন ইখতিয়ার আসলানভ বলেন, আইসিআরসি সুষ্ঠুভাবে কারাগার ব্যবস্থাপনা করতে এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোকে নিয়ে একে অপরের অভিজ্ঞতা থেকে উপকৃত হতে উৎসাহিত করে। এই সম্মেলনের মাধ্যমে এ অঞ্চলের বিভিন্ন পযায়ের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে এবং বন্দিদের হয়ে আমাদের কাজ পরিচালনা সহজতর হবে।

তিনি আরও বলেন, ১৪০ বছরের বেশি সময় ধরে আইসিআরসি ৯০টিরও বেশি দেশে কারাবন্দিদের জন্য বন্দি পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বন্দিদের শারীরিক ও মানসিক কল্যাণ সাধন, চিকিৎসা ও বন্দিত্বের পরিবেশ, আন্তর্জাতিক মানবিক আইন ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অন্যান্য মানদণ্ড অনুযায়ী হয় তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে সংগঠনটি।

এছাড়াও কারাগারের পরিবেশ উন্নয়ন এবং কারাবন্দি ও তাদের পরিবারের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করতেও কাজ করছে আইসিআরসি।

বাংলাদেশ