ইউএনডিপির সাবেক কান্ট্রি ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ

ইউএনডিপির সাবেক কান্ট্রি ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ

ইউনাইটেড ন্যাশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি) বাংলাদেশের সাবেক কান্ট্রি ডিরেক্টর স্টিফেন প্রিসনারকে শুল্ক ফাঁকি ও মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধে অভিযুক্ত করেছে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের তদন্তদল।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার শুল্ক গোয়েন্দা তদন্তদলের দেয়া প্রতিবেদনে প্রিসনারের কার্যক্রমকে শুল্ক আইন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করা হয়।

এছাড়া ইউএনডিপির নিউইয়র্কের সদর দফতরে প্রিসনারের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিবরণী পাঠানোরও সুপারিশ করা হয়েছে। জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।

তিনি জানান, তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রিসনার শুল্কমুক্ত সুবিধা অপব্যবহারে জড়িত ছিলেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য শুল্কমুক্ত সুবিধার গাড়ি অবৈধভাবে নন-প্রিভিলেজড ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর এবং এর মাধ্যমে অনৈতিক আর্থিক লেনদেনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

তিনি জানান, ব্যক্তিগত লাভের উদ্দেশে গাড়িটির বিক্রয় প্রক্রিয়া ও এ সংক্রান্ত লেনদেনের অর্থ বাংলাদেশের বাইরে অবস্থিত বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে স্থানান্তর করা হয়েছে। যা মানি লন্ডারিং অপরাধ হিসেবে বিবেচ্য। এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হওয়ায় প্রিসনারের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করা হয়েছে।

এছাড়া ইউএনডিপিকে নিজস্ব নীতির আলোকে প্রিসনারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে বলেও তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ করা হয়েছে।

গত বছরের ২৮ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরার একটি বাড়ি থেকে প্রিসনারের ব্যবহৃত শুল্কমুক্ত সুবিধার গাড়িটি জব্দ করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। পরে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ সফিউর রহমানের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। ওই কমিটি দীর্ঘ তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে প্রতিবেদন জমা দেয়।

বর্তমানে প্রিসনার উজবেকিস্তানে ইউএনডিপির প্রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।

বাংলাদেশ