বিএনপি দুর্নীতি এবং জামায়াত সন্ত্রাস করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেন, দুর্নীতি করেছে বিএনপি, সন্ত্রাস করেছে জামায়াত। তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে গেছে।
রোববার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের নতুন কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সংসদ সদস্যদের করণীয়’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ২০১৩ সালে আমি যখন আওয়ামী লীগের প্রচারে নামি তার আগে থেকেই ব্যর্থ হয়েছে, ব্যর্থ হয়েছে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। এত কাজ করেছি, মানুষের আয় দ্বিগুণ করেছি, ৩২ কোটি স্কুলে বই বিতরণ করেছি, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করেছি, পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করে দিয়েছি তারপরও ব্যর্থ হয়েছে, ব্যর্থ হয়েছে প্রচার-অপপ্রচার।
প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, শুধু কাজ করলে হবে না, মানুষকে জানিয়ে দিতে হবে আমরা কী করছি তোমাদের জন্য। আওয়ামী লীগ কী করছে, এটা সরকার না। বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিজে নিজে বানায় না, পদ্মা সেতু নিজে নিজে বানাচ্ছে না। এটা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের সিদ্ধান্তে হচ্ছে। আমরা এটার টাকা জোগাড় করে দিয়েছি, আমরা পরিশ্রম করছি।
জয় বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকে মোকাবেলা করতে হলে, আমাদের নিজের প্রচার করে যেতে হবে। আমাদের মধ্যে সিনিয়র যারা আছেন তারা মানুষের সামনে কথা বলতে, নিজের ঢোল পেটাতে লজ্জা পান। এটা স্বাভাবিক, আমরা যারা সৎ মানুষ। সৎ মানুষ কিন্তু সবসময় নিজের ঢোল পেটাতে লজ্জা পায়। যারা ফাঁকিবাজ, যারা টাউট তারা নিজেদের ঢোল পেটাতে খুব পারে। যারা পরিশ্রম করতে পারে, যারা সৎ তারা একটু লজ্জা পায়। তবে সেই লজ্জা পেলে কিন্তু হবে না। আমাদের জোর গলায় বলতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের তরুণরা কিন্তু এখন আর খবরের কাগজ পড়েই না। খবরের কাগজে শুধু আমাদের ওই সুশীল বাবুদের মতামতই দেখা যায়। তরুণরা ওটা পাত্তা দেয় না। তরুণরা টেলিভিশনটাই বেশি দেখে। তবে সবচেয়ে বেশি খবর তার পায় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে। সে কারণে আমাদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের জন্য কাজ করছি, সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে যদি আমাদের প্রচার রাখতে পারি তাহলে আজকের ভোটার না; তরুণ ভোটাররাও আওয়ামী লীগের ভোটার হয়ে থাকবে।
কর্মশালায় প্রায় ৫০ জন সংসদ সদস্য অংশগ্রহণ করেন। আগামী দুইদিনে আরও ১০০ জন সংসদ সদস্যের এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে।