আগামী ১৭ মে ঢাকায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা মূলক চুক্তি বা ‘টিকফা’ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
এটি দু’দেশের মধ্যকার তৃতীয় টিকফা বৈঠক। এর মধ্য দিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে প্রথমবারের মতো কোনো বৈঠকে বসতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
এ বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার আদায়ের বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরবে বাংলাদেশ। পাশাপাশি ওবামা প্রশাসনের সময়ে স্থগিত হয়ে যাওয়া জিএসপি সুবিধা পুনর্বহালেও জোর দেয়া হবে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র।
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানো ও এর প্রতিবন্ধকতা দূর করতে গত ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর টিকফা চুক্তি স্বাক্ষর করে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ। ২০১৪ সালের এপ্রিলের ২৮ তারিখে ঢাকায় প্রথম টিকফা বৈঠক অনুষ্টিত হয়। পরের বছর ২৩ নভেম্বর ওয়াশিংটনে দ্বিতীয় বৈঠকটি অনুষ্টিত হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন, নির্বাচন পরবর্তী সংস্কার ও নবগঠিত প্রশাসনের অগ্রাধিকার বিষয় নির্ধারণ করতে গিয়ে ২০১৬ সালের বৈঠকটি হয়নি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের অগ্রাধিকার এবং আগ্রহ জানতে চায় বাংলাদেশ। এছাড়া সাসটেইনেবল কমপেক্ট এবং জিএসপি অ্যাকশন প্ল্যানের আওতায় শ্রম অধিকার, কর্মপরিবেশ, বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ, বাংলাদেশের রূপান্তর, বাজার ব্যবস্থা, ইস্তাম্বুল সিদ্ধান্ত, বালি সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন, ন্যায্য মূল্য, টিপিপি, ব্লু ইকোনমি এবং অবকাঠামোগত বিষয়গুলোতে আলোচনা করবে দুই দেশ।
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন দেশটির দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি আর বাংলাদেশের পক্ষে থাকবেন বাণিজ্যসচিব।
গত টিকফা বৈঠকে সাসটেইনেবল কমপেক্ট এবং জিএসপি অ্যাকশন প্ল্যানে দেয়া কর্মপরিবেশের উন্নয়ন অগ্রগতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে স্থগিত থাকা জিএসপি সুবিধা এখনো ফিরে পায়নি বাংলাদেশ।