তথ্যপ্রযুক্তিতে রাজশাহীতে এক হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ

তথ্যপ্রযুক্তিতে রাজশাহীতে এক হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ

রাজধানী ঢাকার বাইরের কোনো শহর হিসেবে রাজশাহীতে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে এক হাজার জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

শিক্ষানগরী রাজশাহীতে অফিস চালুর উদ্যোগ নিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান `কাজী আইটি সেন্টার লিমিটেড’। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এবং কাজী আইটি সেন্টার লিমিটেডের মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

বুধবার বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের কনফারেন্স রুমে এই সমঝোতা স্মারক সই হয়।

বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ এনামুল কবির এবং কাজী আইটি সেন্টারের প্রধান নির্বাহী মাইক কাজী নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন।

সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী, এলআইসিটি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল করিম এনডিসি, এলআইসিটি প্রকল্পের কম্পোনেন্ট টিম লিডার সামী আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

দুই বছর মেয়াদী এ সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের এলআইসিটি প্রকল্প এবং কাজী আইটি সেন্টার লিমিটেড যৌথভাবে উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি এবং প্রশিক্ষিতদের কর্মসংস্থানে কাজ করবে।

এছাড়া বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এবং এলআইসিটি প্রকল্প ট্রেনিং ল্যাব, মডিউল তৈরি, সনদ প্রদান, প্রচার-প্রচারণা ও অন্যান্য কারিগরি সহায়তা প্রদান করবে। অন্যদিকে কাজী আইটি সেন্টার প্রশিক্ষণ উপকরণ, দক্ষ প্রশিক্ষণ এবং প্রশিক্ষিতদের কর্মসংস্থানে সহায়তা করবে।

সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করা ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে এক হাজার জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ কাজী ফার্ম নিয়েছে। এমন সাহসী এবং সময়োপযোগী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল খাতে অল্প সময়ে যে পরিমাণ সামনে এগিয়ে গেছে, তাতে নতুন মাত্রা যোগ করলো কাজী ফার্মের এই উদ্যোগ। সেইসঙ্গে দেশের অন্যরা এগিয়ে আসতে চাইলে আইসিটি মন্ত্রণালয় থেকে সার্বিক সুযোগ দেবে মন্ত্রণালয়।

কাজী আইটি সেন্টারের প্রধান নির্বাহী মাইক কাজী বলেন, ইতোমধ্যে রাজশাহীতে জায়গা নিয়েছি, এখন অফিস সাজানোর কাজ চলছে। আশা করি আগামী দুই মাসের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু করতে পারব।

বিজ্ঞান প্রযুক্তি