অভিনয়ের সাবলীলতার জন্য টিভি দর্শকদের কাছে ম ম মোর্শেদ প্রিয় একটি নাম। দীর্ঘদিন ধরে তিনি টিভি নাটকে অভিনয় করছেন। এবার নাম লেখালেন নির্মাণে। ঔপন্যাসিক স্বকৃত নোমানের ‘ক্যান্সার’ গল্প নিয়ে নাটকটি নির্মাণ করেছেন তিনি। নাটকটির নাম রেখেছেন ‘মিথ্যা গল্প-১’।
জানা যায়, ‘ক্যান্সার’ গল্পটি স্বকৃত নোমানের প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘নিশিরঙ্গিনী’ গল্পগুচ্ছের অন্তর্গত। এটি তার প্রথম কোনো গল্প যেটি টেলিভিশনের পর্দায় দেখতে পাবেন দর্শকরা। নাটকটির শূটিং প্রায় শেষের পথে। ৪৯টি দৃশ্যের ধারণ করা হয়েছে বরিশালে। অল্প কদিনের মধ্যে শুটিংয়ের বাকি কাজ শেষ হবে।
ম ম মোর্শেদ বলেন, ‘বছর খানেক আগে ঔপন্যাসিক স্বকৃত নোমানের লেখা কিছুটা ভিন্ন ধরনের ‘ক্যান্সার’ গল্পটি নিয়ে টিভি নাটক নির্মাণের কথা ভাবি। আর্থিক বিনিয়োগের জন্য কয়েক বন্ধুকে অনুরোধ করি। কিন্তু প্রচলিত কমেডি নাটক নয় বলে তারা কেউই আগ্রহ দেখালেন না। পরে পাশে দাঁড়ালেন ফিল্মের এডি জামান সাহেব।
নাটকটি নির্মাণে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার জন্য তিনি তার বন্ধু নোমান খন্দকারকে অনুরোধ করলেন। তার সহযোগিতায় আমরা কাজ শুরু করি। নাটকটির শুটিং প্রায় শেষের দিকে। আশা করছি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এটি টেলিভিশনে দেখতে পাবেন দর্শকরা।’
নাটকের গল্পকার স্বকৃত নোমান বলেন, ‘ম ম মোর্শেদ আমার গল্প নিয়ে নাটক নির্মাণ করছেন এটি আমার জন্য আনন্দের। প্রথমে এ নিয়ে আমার ভেতর তেমন উচ্ছ্বাস ছিল না। কিন্তু শুটিং করার পর মোর্শেদ ভাই একদিন এলেন আমার অফিসে। পরবর্তী নাটকের জন্য একটি গল্প নিয়ে আলাপ করলাম দুজনে। পরে নিজের ল্যাপটপ থেকে দেখালেন ‘ক্যান্সার’ বা ‘মিথ্যা গল্প-১’ নাটকটির বেশ কিছু ফুটেজ। মনোযোগ দিয়ে দেখলাম।
যে কটি দৃশ্য নিয়ে আমার মধ্যে শঙ্কা ছিল, তিনি ঠিকমতো ধরতে পারবেন কিনা, অভিনেতারা ঠিকমতো অভিনয় করতে পারবেন কিনা- সেই দৃশ্যগুলো এতো চমৎকারভাবে তিনি ধারণ এবং অভিনয় করেছেন, যা একেবারেই আশাতীত। গল্পটির ভিজ্যুয়ালাইজেশন করে তিনি বরং গল্পটি ভিন্ন একটা মাত্রায় নিয়ে গেছেন। আশা করছি দর্শকদের ভালো লাগবে।’
নাটকটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন রামিন। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন হোমায়রা হিমু, সামসুন নাহার নিপা, দুলারী তাহিম, তাসনিম জাহান সেহতাজ, কাজী মিরাজ, জেসস পলাশ বিশ্বাস, সজল মাহামুদ, বিপ্লব আহমেদ, এ.এইচ সঞ্চয় প্রমুখ। একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র অভিনয় করেছেন পরিচালক ম ম মোর্শেদ নিজেই।