জঙ্গিবাদ থেকে ফিরতে চাইলে জীবিকার সুযোগ দিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

জঙ্গিবাদ থেকে ফিরতে চাইলে জীবিকার সুযোগ দিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

যারা জঙ্গিবাদ ও চরমপন্থা থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চায় তাদের জীবন ও জীবিকার সুযোগ করে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার রাজধানীর কুর্মিটোলায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) সদর দফতরে সংস্থার ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গিরা যেন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে আমরা সে জন্য কাজ করছি। ইতোমধ্যে যেসব জঙ্গি আত্মসমর্পণ করেছে তাদের তালিকা করা হয়েছে। তাদের অর্থনৈতিকভাবে সহায়তা করা হবে। যে ধরনের কাজ তারা করতে চায় সেটা করতে সহায়তা করা হবে যাতে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে।’
বৃহত্তর কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার পরিকল্পনা আছে আমাদের–বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার সময় দেশে সাড়ে সাত কোটি মানুষ ছিল। যা এখন ১৬ কোটি। তাদের সঠিক সেবা দিতে প্রশাসনকেও ঢেলে সাজানো দরকার। সেটা আমরা করছি। র‌্যাবের অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির ব্যবস্থাও হাতে নিয়েছি। ২০১৫ থেকে এ পর্যন্ত র্যা বের বাজেট দ্বিগুণ বাড়ানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘র‌্যাবের জন্য অত্যাধুনিক সরঞ্জামাদির ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেকোনো অপারেশনে সমন্বয়ের প্রয়োজন। যার যেখানে যতটুকু আছে তা দিয়ে সহযোগিতা করবে।’

এরআগে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘গার্ড অব অনার’ দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, তিন বাহিনীর প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক। এতে সভাপতিত্ব করেন র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।

২০০৪ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডে অংশ নেয়ার মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে এলিট ফোর্স র‌্যাব। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস দমনসহ দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষায় র‌্যাব কাজ করে আসছে। তাদের কর্মদক্ষতা ও সাফল্য জনসাধারণের কাছে বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে।

জঙ্গি দমনের পাশাপাশি পথভ্রষ্ট তরুণদের উগ্রপন্থা থেকে ফিরিয়ে আনতেও সংস্থাটি বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। ২৬ মার্চ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হলেও এক মাস পরে আজ ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করছে র‌্যাব।

বাহিনীটির গোয়েন্দা প্রধান সিলেটের জঙ্গি আস্তানা আতিয়া মহলের বাইরে হঠাৎ বোমার বিস্ফোরণে আহত হয়ে প্রথমে বাংলাদেশ সামরিক হাসপাতাল ও পরে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার পর ঢাকায় মারা যান। এ কারণে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান পিছিয়ে দেয়া হয়।

বাংলাদেশ