চলচ্চিত্রের স্বার্থে সেক্রিফাইস চরিত্রেও অভিনয় করবো : সাইমন

চলচ্চিত্রের স্বার্থে সেক্রিফাইস চরিত্রেও অভিনয় করবো : সাইমন

‘আমরা যারা এই প্রজন্মের তারা যখন চলচ্চিত্রে কাজ করতে এসেছি তখন এই অঙ্গনের ক্রান্তিকাল। এখন সবদিক দিক থেকে আমাদের চেপে ধরা হচ্ছে। ভালো ছবি হচ্ছে না বলে আমাদের দোষারোপ করা হচ্ছে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, দোষটা কি শুধু শিল্পীদের একার? উত্তর হচ্ছে- না, সামগ্রিক।’

কথাগুলো বলছিলেন চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এফডিসির মান্না ডিজিটাল কমপ্লেক্সে ‘বাহাদুরি’ ছবির মহরতে একথা বলেন সাইমন। ‘বাহাদুরি’ ছবি পরিচালনা করতে যাচ্ছেন ‘ধূমকেতু’ ছবির নির্মাতা শফিক হাসান। এই ছবিতে সাইমনের সঙ্গে জুটি বাঁধবেন পরীমনি। এছাড়াও আরও একটি জুটি হিসেবে দেখা যাবে জায়েদ খান, নবাগতা মৌ খানকে।

মহরত অনুষ্ঠানে সাইমন সাদিক বলেন, ‘আমি একজন চলচ্চিত্র শিল্পী, চলচ্চিত্র কর্মী। মানুষ আমাকে এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চিনেছে। আমার পরিচিতি এসেছে এই চলচ্চিত্র থেকে। তাছাড়া এটাই আমার পেশা। আমি অন্যকোনো পেশার সঙ্গে ইনভলব না। কিন্তু এই পেশাটি প্রতিনিয়ত নানা প্রতিকূলতার মুখে পড়ছে।’

সাইমন বলেন, ‘এখন চলচ্চিত্রের আগের অবস্থা ফিরিয়ে আসতে আমিসহ নতুন অনেকেই সবসময় চেষ্টা করে যাচ্ছি। সবার আগে চলচ্চিত্রকে প্রাধান্য দিচ্ছি। আগামীতেও দেব। এরজন্য প্রয়োজনে সেক্রিফাইস ক্যারেকটারে অভিনয় করবো। সেই ভাবনা থেকেই আমি ও জায়েদ খান একসঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছি। দুইজন নায়ক একসঙ্গে কাজ কার ধারা আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক পুরনো। কিন্তু একটা সময় এসে একনায়কতন্ত্রের শাসেন পড়ে যাই আমরা। তখন সবকিছুই হয়েছে একজনকে ভেবে, কেন্দ্র করে। কিন্তু এর পরিবর্তন আসা দরকার। ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে, দর্শকের চাহিদার কথা ভেবে ব্যতিক্রম সব ভাবনা রাখতে হবে ছবির গল্প ও নির্মাণে। দুই-তিনজন নায়ক ও নায়িকাকে নিয়ে ছবি হলে দর্শকের আগ্রহ থাকবে আরও বেশি। আমি অনেকবার অামার সমসাময়িক নায়কদের বলেছি একসঙ্গে কাজ করতে। তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। অবশেষে সেটা হতে যাচ্ছে। আগামীতে আরও হবে। আমি চাই, আমরা সবাই চাই চলচ্চিত্র বাঁচুক। চলচ্চিত্র বাঁচলে, ভালো থাকলে আমরা ভালো থাকবো।’

কথা প্রসঙ্গে ‘পোড়ামন’ এই নায়ক বলেন, ‘শুনেছি ঢাকার মেয়র মহোদয় নিয়ম করেছেন শহরের দেয়ালে চলচ্চিত্রের পোস্টার লাগানো যাবে না। সব পোস্টার থাকবে, কিন্তু চলচ্চিত্রের পোস্টার থাকবে না। এটা কেমন কথা? হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হলো সেটা বুঝতে পারলাম না। নানা রকম হারবাল, পোশাক ব্র্যান্ড, প্রতিষ্ঠানের পোস্টার বিলবোর্ডে আপত্তি থাকার কথা। কিন্তু আজকালকার চলচ্চিত্রের পোস্টারে আপত্তিকর তেমন কিছু তো দেখি না। তাছাড়া চলচ্চিত্র এখন শিল্প। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেয় এর উন্নয়নে কাজ করার কথা বলেছেন। সেখানে পোস্টার নিষিদ্ধ করে প্রচারণায় ব্যাঘ্যাত ঘটনোর ভাবনা কেন আসছে বুঝতে পারছি না। বিষয়টি নেতৃত্বের জায়গায় যারা আছেন তাদের ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।’

সাইমন বলেন, ‘দেয়ালে পোস্টারের ফলে ছবির প্রচার হয় সবচেয়ে বেশি। একজন রাস্তায় গাড়িতে এসির মধ্যে বসে থাকলে তিনি পোস্টার না থাকলে কীভাবে বুঝবেন যে একটা ছবি আসছে। কিংবা মাইকিং হলেও তো বুঝবেন না। তাছাড়া দেশের সংস্কৃতিকে রিপ্রেজেন্ট করার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হচ্ছে চলচ্চিত্র। তাই আমি চাইবো প্রয়োজনে অন্য পোস্টার সরিয়ে শহরের দেয়ালে শুধু চলচ্চিত্রের পোস্টার রাখা হোক।’

বিনোদন