খ্যাতিমান গায়ক ও সুরকার লাকী আখন্দকে আজ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষ শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা লাকী আখন্দ শুক্রবার সন্ধ্যায় ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে আর্মানিটোলায় নিজ বাসায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর।
সকালে আর্মানিটোলা জামে মসজিদ মাঠে প্রথম নামাজে জানাজার পরে তার কফিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে আসা হয়।
সকাল ১১টায় শহীদ মিনার চত্বরে তাকে গার্ড অনার প্রদান করা হয়। সকল স্তরের লোকের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তার কফিন শহীদ মিনার চত্বরে রাখা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ চত্বরে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে বিকেলে মীরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
২০১৫ সালে লাকী আখন্দের ফুসফুসে ক্যান্সার সনাক্ত করা হয়। পরে তিনি থাইল্যান্ডে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে চিকিৎসা সহায়তা গ্রহণ করেন।
লাকী আখন্দের জন্ম ১৯৫৬ সালের ১১ জুন। পাঁচ বছর বয়সে তিনি তার পিতার কাছ থেকে সঙ্গীতের শিক্ষা গ্রহণ শুরু করেন। তিনি ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত রেডিও ও টেলিভিশনে শিশুদের সঙ্গীত অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। ১৪ বছর বয়সে তিনি এইচএমভি পাকিস্তানের মিউজিক কম্পোজার এবং ১৬ বছর বয়সে এইচএমভি ইন্ডিয়ার মিউজিশিয়ান হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
১৯৭১ সালে তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগ দেন। তিনি বাংলাদেশ বেতারের মিউজিক ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালন করেন।
সরগমের ব্যানারে ১৯৮৪ সালে প্রথম একক অ্যালবামের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করেন। ১৯৮০ দশকে তিনি গায়ক, লিরিকিস্ট কম্পোজার ও সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।
তার বিখ্যাত গান ‘আমায় ডেকোনা’, ‘এই নীল মনিহার’ ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’।
লাকী আকন্দ ১৯৬৯ সালে পাকিস্তান আর্ট কাউন্সিল থেকে ‘আধুনিক বাংলা গান’ ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পান। ঘুড্ডি ছবিতে তার ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ ব্যবহার করা হয়।
লাকী আখন্দের সঙ্গীত চর্চা বন্ধ হয়ে যায় তার ছোট ভাই হ্যাপী আখন্দ ১৯৮৭ সালে মারা যাওয়ার পর।
তিনি প্রায় এক দশক পরে ১৯৯৮ সালে পরিচয় কবে হবে এবং বিতৃষ্ণা জীবনে আমার অ্যালবামের মাধ্যমে গানের ভুবনে ফিরে আসেন।