গণপরিবহনে নৈরাজ্য বন্ধের দাবি জাতীয় কমিটির

গণপরিবহনে নৈরাজ্য বন্ধের দাবি জাতীয় কমিটির

কথিত সিটিং সার্ভিসের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে রাজধানীজুড়ে সৃষ্ট নৈরাজ্য ও জনভোগান্তি অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি। মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের উপদেষ্টা ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ মনজুরুল আহসান খান এবং সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে সরকার এ দাবি জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির পরামর্শে এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গত রোববার (১৬ এপ্রিল) থেকে সিটিং সার্ভিসের নামে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও ত্রুটিপূর্ণ যানবাহনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা শুরু করে। কিন্তু পূর্বঘোষিত এ অভিযান শুরুর দিন সকাল থেকেই রাজধানীর সড়ক পরিবহন খাতে দেখা দেয় চরম বিশৃঙ্খলা, নৈরাজ্য ও জনদুর্ভোগ।

জাতীয় কমিটির নেতারা অভিযোগ, এক শ্রেণির মালিক-শ্রমিকের খামখেয়ালীপনায় গত তিনদিন ধরে রাজধানীতে প্রায় ৪০ শতাংশ বাস-মিনিবাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে বিদ্যমান গণপরিবহন সংকট আরও বেড়েছে। অন্যদিকে সিটিং সার্ভিস বন্ধ হওয়ায় চলাচলরত বাস-মিনিবাসগুলোতে নির্ধারিত আসনের দ্বিগুণ যাত্রী বহন করছে।এতে যাত্রীদের ভোগান্তি তীব্র আকার ধারণ করেছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, চলমান অভিযানের কারণে সিটিং সার্ভিসগুলো ইতোমধ্যে লোকাল সার্ভিস হয়ে গেছে। এসব বাস-মিনিবাসে প্রতিটি স্টপেজ থেকে যাত্রী ওঠা-নামা করলেও আগের সিটিং সার্ভিসের ভাড়াই নেয়া হচ্ছে।

মোটরযান চলাচল অধ্যাদেশে ইচ্ছাকৃতভাবে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রাখলে রুট পারমিট বাতিলসহ বিভিন্ন ধরনের শাস্তির বিধান রয়েছে। অথচ যেসব মালিক যানবাহন বন্ধ রেখে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বিআরটিএ।

বাংলাদেশ