দক্ষিণ কোরিয়ার কারাগারগুলোতে খুব শিগগির যন্ত্রমানবদের রক্ষীর ভুমিকায় দেখা যাবে। এই রোবট প্রহরীরা কারাবন্দিদের অস্বাভাবিক আচরণ সনাক্ত করতে পারবে।
বৃহস্পতিবার এই ধরনের রোবট তৈরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একদল গবেষক এ কথা জানিয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার তথ্য অর্থনীতি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে পারিচালিত একশ’ কোটি ওনের (কোরীয় মুদ্রা) একটি প্রকল্পের অধীনে একদল বিজ্ঞানী এই কারারক্ষী রোবট তৈরির কাজে নিয়োজিত আছেন।
৫ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট চার চাকার এই রোবট মূলত রাতের বেলা প্রহরা দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হবে।
এই রোবট কারাবন্দিদের আত্মহত্যা প্রবণতা এবং সহিংসতার মতো অস্বাভাবিক আচরণ সনাক্ত করতে পারবে এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারবে।
বন্দিদের সঙ্গে কারা কর্মকর্তাদের কথা বলার সুযোগ সংবলিত দূরবর্তী সংযোগ ব্যবস্থাও এদের সঙ্গে যুক্ত থাকবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার কিয়ংগি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লি বায়েক চুল বলেন, বন্দিদের সংশোধন মূলক ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করার লক্ষ্যে এসব রোবট তৈরি করা হয়েছে।
এ ধরনের তিনটি রোবট আগামী মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ার পোহাং শহরে পরীক্ষামূলক ব্যবহার করা হবে।
রোবট প্রযুক্তিতে বর্তমানে বিশ্বে অন্যতম নেতৃত্ব দানকারী দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। এর আগে দেশটিতে বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক, উত্তর কোরিয়ার সীমান্তে নজরদারির কাজে নিয়োজিত প্রহরী, ঘরদোর পরিষ্কারক এবং তায়কোয়ান্দো খেলতে পারদর্শী রোবট তৈরি করেছে।