প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা কার্ড তৈরিতে শিশুদের চিত্রকর্ম পছন্দ করার মাধ্যমে আবারো প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রতি তাঁর অসীম স্নেহ ও ভালোবাসা প্রদর্শন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন বুধবার বাসসকে বলেন, ‘আগের অনুষ্ঠানগুলোর মতো শেখ হাসিনা বাংলা নববর্ষ ১৪২৪-এর শুভেচ্ছা কার্ডের জন্য প্রতিবন্ধী শিশুদের চিত্রকর্ম বাছাই করেছেন।’
তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা কার্ডের জন্য এবার প্রধানমন্ত্রী ৬ প্রতিবন্ধী শিশুর চিত্রকর্ম বাছাই করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রতি আবারো তাঁর অসীম ভালোবাসা ও স্নেহের প্রমাণ দিলেন।
যাদের চিত্রকর্ম বাছাই করা হয়েছে তারা হচ্ছেন- ঢাকার দক্ষিণ কল্যাণপুরের নাঈমুল ইসলাম চৌধুরীর পুত্র আসহাব মুনিম চৌধুরী, কেরানীগঞ্জের মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের পুত্র ইব্রাহিম খলিল, বনানীর ডিওএইচএস-এর শাজাহান হাফিজের কন্যা ইসাবা হাফিজ, মোহাম্মদপুরের কাটাসুরের মোহাম্মদ আলীর পুত্র মো. রাহাত, গাজীপুরের কালিগঞ্জের আলমগীর হোসেনের কন্যা মোসাম্মত আবিদা সুলতানা (শান্তা) এবং সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মধ্য কাতিয়া গ্রামের নিরাপদ দাসের কন্যা সুমা দাস।
উপ-প্রেস সচিব বলেন, ২০১০ সালের আগে প্রধানমন্ত্রী শুভেচ্ছা কার্ড তৈরির জন্য পেশাদার শিল্পীদের চিত্রকর্ম ব্যবহার করতেন। কিন্তু ২০১০ সালের ঈদুল আজহা থেকে তিনি প্রথম প্রতিবন্ধী শিশুদের চিত্রকর্ম দিয়ে তৈরি শুভেচ্ছা কার্ড পাঠানো শুরু করেন। তখন থেকেই তিনি ঈদ, নববর্ষ এবং ইংরেজী নববর্ষসহ বিভিন্ন উপলক্ষে শুভেচ্ছা কার্ড তৈরিতে প্রতিবন্ধী শিশুদের চিত্রকর্ম ব্যবহার করে আসছেন।
খোকন বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই এই ৬ প্রতিবন্ধী শিশুর চিত্রকর্ম পহেলা বৈশাখ ১৪২৪-এর শুভেচ্ছা কার্ডের জন্য বাছাই করেন। এ জন্য প্রত্যেক শিশুকে ১ লাখ টাকা করে দেয়া হবে।
ইসাবা হাফিজের মা শিরিন হাফিজ তার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বাসসকে বলেন, তাদের কন্যার চিত্রকর্ম প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা কার্ডে ব্যবহার হওয়ায় তিনি খুব আনন্দিত। তিনি বলেন, ‘আমাদের কন্যার চিত্রকর্ম শুভেচ্ছা কার্ডে ব্যবহার করায় আমরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ।’
শিরিন হাফিজ বলেন, তার প্রতিবন্ধী কন্যা এ বছর স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রথম অংশ নেয়।