মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে তিন সপ্তাহ পর ন্যাশনাল ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরির (এনডিএফএল) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজে স্থাপিত ডিএনএ ল্যাবে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গত তিন মাস ধরে বেতন-ভাতা বন্ধ এবং তাদের চাকরি পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রাজস্বখাতে স্থানান্তরের দাবিতে গত ১৫ মার্চ থেকে কর্মবিরতি পালন করে আসছিলেন।
বুধবার সকালে মেহের আফরোজ চুমকি ডিএনএ ল্যাব পরিদর্শনে এলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কথা শুনে তাদের বেতন-ভাতার ব্যবস্থা ও ডিএনএ ল্যাব অধিদফতর করার বিষয়টি দ্রুত দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন। পরে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী ডিএনএ ল্যাব পরিদর্শনে এল তাকে স্বাগত জানান ল্যাবের প্রধান ড. শরীফ আকতারুজ্জামান। এসময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে পরিচালিত মাল্টি সেক্টরাল প্রোগ্রাম ভায়োলেন্স এগেইনিস্ট উইম্যান (এমএসপিভিএডব্লিউ) প্রকল্পের পরিচালক আবুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শনকালে মন্ত্রী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থেকে অভিযোগ শুনে তাদের জানান, গত মঙ্গলবার একনেকের বৈঠকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরবর্তী পাঁচবছর মেয়াদি (জুলাই ২০১৬ থেকে ২০২১ জুন) প্রকল্পের জন্য মোট ১১৫ কোটি টাকার বরাদ্দ অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এ সময় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিমন্ত্রীকে জানান, গত জানুয়ারি মাস থেকে তারা বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। গত বছরের ৩০ জুন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়। পরবর্তীতে প্রকল্প পরিচালকের নির্দেশে তারা ডিএনএ ল্যাবের কার্যক্রম চালিয়ে যান। এর আগে তাদের বেতন-ভাতা ২৫ শতাংশ কেটে নেয়া হলেও জানুয়ারি থেকে তাও বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া ল্যাবে কর্মরতদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেই। মন্ত্রী তাদের কথা শুনে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।
ল্যাবের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আশীষ কুমার মজুমদার জানান, মন্ত্রীর আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আজ থেকেই তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে যোগদান করেছেন।