স্থায়ী বেতন কমিশন গঠনের পরিবর্তে মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা নির্ধারণের উপায় খুঁজতে একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার। কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী বেতন-ভাতা নির্ধারণে অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি সেল গঠন করা হবে বলেও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
রোববার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এ সংক্রান্ত এক সভায় এ কমিটি গঠন করা হয়। সভা শেষে অর্থমন্ত্রী নিজ দফতরে সাংবাদিকদের কমিটি গঠনের কথা জানান।
অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক, অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুনসহ কয়েকজন সচিব উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘গত বেতন কমিশনে আমরা বলেছি, আর ভবিষ্যতে বেতন কমিশন হবে না। সো উই অলসো প্রমিজ, একটা অল্টারনেটিভ সিস্টেম করতে হবে যাতে অটোম্যাটিক্যালি ইনফ্লেশন ফ্যাক্টর ইজ টেকেন কেয়ার। সেটা নিয়ে আলোচনায় আজকে বসলাম। অ্যান্ড ইট ওয়াজ এ প্রিলিমিনারি ডিসকাশন।’
তিনি বলেন, ‘এই ডিসকাশনের বেসিসে আজকে আমরা ছোট্ট একটা কমিটি করেছি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবের (সমন্বয় ও সংস্কার) নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি তিন মাসের মধ্যে একটি রিপোর্ট দেবে। রিপোর্ট পাওয়ার পর আমরা আরও চিন্তা করবো।’
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘আমাদের ভিউ হচ্ছে আর কোনো বেতন কমিশন চাই না। গত বেতন কমিশনের মেইন কারণ ছিল আমাদের বেতন স্কেল অন্যান্য দেশের স্কেল থেকে ভিন্ন ছিল। আমাদের সিস্টেম থেকে ভালো সিস্টেম উন্নয়নশীল দেশগুলোর সর্বত্রই আছে।’
তিনি বলেন, ‘গতবার আমরা যেটা করলাম, অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশ যে অবস্থানে ছিল সেখানে আমরা নিয়ে আসলাম। তার ফলে এখন আমরা একটা অবস্থানে আছি। তাই আমাদের এমন একটা কমিশন করা দরকার, গ্রাজুয়্যালি ইনক্রিজ হবে, এক বছর হবে, এক বছর হবে না, ডিপেন্ডিং অন সিচুয়েশন। এটা নিয়ে আজ আলোচনা হলো, হাউ ডু উই ইনস্টিটিউটেড। কমবেশি সবাই রাজি হলেন একটা সেল শুড বি ফর্ম, যেখানে জনপ্রশাসনের পার্টিসিপেশন থাকবে।’
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘নিউ সিস্টেম শুড বি প্লেসড বিফর উই লিভ। ভবিষ্যতের সরকারের জন্য আমাদের কিছু রেখে যেতে হবে। তারা বলবে- ওটা শেষ করে গেল অন্য উপায় তো বাতলালো না। সো দ্যাট মিনস উই হ্যাভ ফাইনালাইজড ইট নেক্সড ইয়ার।’