রাজধানীর বসুন্ধরায় আন্দোলনরত নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কামরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রক্টর কামরুল ইসলাম জানান, আজ সব ক্লাস পরীক্ষা সাসপেন্ড। আগামীকালও (শুক্রবার) একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। শনিবার একাডেমিক কার্যক্রম সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করলে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারসেল, কাঁদানে গ্যাস, জলকামান নিক্ষেপ করে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়।
দুপক্ষের সংঘর্ষের পর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের মূল গেটের ভেতরে চলে যায়। সেখানে তারা বিক্ষোভ করছে। এর আগে বৃহস্পতিবার প্রগতি সরণিতে প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
গতকাল বুধবার নিরাপত্তারক্ষীদের পিটুনিতে আহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হাসনাত তপু। তিনি নর্থ সাউথের বিবিএর ষষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্র। তাকে এ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। |
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্র লাব্বি খান জানান, তপুসহ দুই ছাত্র রাত ১০টার দিকে প্রগতি সরণির ‘অ্যাপোলো’ গেটে একটি মোটরসাইকেল রাখতে গেলে নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের বাধা দেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সিকিউরিটি গার্ডরা ছাত্রদের ওপর হামলা করে।
পুলিশ জানায়, তপুকে মারধরের খবর ছড়িয়ে পরলে অন্য শিক্ষার্থীরা এসে বিক্ষোভ শুরু করে। ঘটনার বিচার দাবি করে গভীর রাত পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেয়ার পর সকাল থেকে পুনরায় অবস্থান নেন।