কোচিংয়ের সুনাম বাড়াতে প্রশ্নফাঁস

কোচিংয়ের সুনাম বাড়াতে প্রশ্নফাঁস

কোচিং সেন্টারের প্রসার, শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফলে সুনাম বৃদ্ধি এবং মুনাফা লাভের জন্য প্রশ্নপত্র ফাঁস করে আসছিল জ্ঞানকোষ নামে একটি কোচিং সেন্টার।

কমলাপুর শের-ই-বাংলা রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজির শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জ্ঞানকোষ নামে ওই কোচিং সেন্টারের পরিচালনা করে আসছিলেন।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি দক্ষিণ) একটি দল এসএসসির ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের আট সদস্যকে গ্রেফতার করে। এরপর বৃহস্পতিবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে দুপুর পৌনে ১২টায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

আব্দুল বাতেন বলেন, বুধবার দিনে ও রাতের বিভিন্ন সময়ে ঢাকা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ময়মনসিংহ, জামালপুর ও কুষ্টিয়া জেলায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন, কমলাপুর শের-ই-বাংলা রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজির শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, তার সহযোগী জহিরুল ইসলাম ওরফে শুভ, লিটন ওরফে আকাশ, রুমন ওরফে মাহির, রাজিব আলী, আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ, তারিকুজ্জামান হিমেল ওরফে আবির ও অন্তর।

ইতোমধ্যে গোয়েন্দা অনুসন্ধানে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের তিনটি পর্যায় চিহ্নিত করা হয়েছে।

এদের একটি হচ্ছে প্রশ্নপত্র তৈরিতে সংশ্লিষ্টরা, দ্বিতীয়টি সরকারি প্রকাশনা সংস্থা (বিজি প্রেস) ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রে নেয়ার পথে বা প্রশ্ন ভাগ করার সময়।

ডিবির এ যুগ্ম-কমিশনার বলেন, কমলাপুর শের-ই-বাংলা রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজির শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জ্ঞানকোষ নামে একটি কোচিং সেন্টার চালান। তার নেতৃত্বাধীন এই চক্রটি জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রে নেয়ার পথে বা প্রশ্ন ভাগ করার সময় ছবি তুলে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করেছে। তারপর ১৫ মিনিটের মধ্যে প্রশ্নের সমাধান বা উত্তর রেডি করে ফাঁসের ঘটনা ঘটিয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, তারা একাধিক ভুয়া নামে ফেসবুক আইডি, ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপ ইত্যাদির মাধ্যমে প্রশ্নপত্র হাতে লিখে গ্রুপে পোস্ট দেয়। বিভিন্ন গ্রুপের এডমিন হিসেবে ‘এসএসসি কুইশ্যান’ দেবে এই মর্মে স্ট্যাটাস দিয়ে ছাত্র সংগ্রহ করে। পরবর্তী সময়ে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করে পরীক্ষার্থীদের নিকট হতে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করে।

আটককৃতদের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত প্রশ্নের সঙ্গে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের মিল পাওয়া গেছে উল্লেখ করে বাতেন বলেন, ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে গ্রেফতারদের সংশ্লিষ্ঠতা পাওয়া গেছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ