কূটনৈতিক সুবিধার অপব্যবহারের দায়ে রাজধানীর পিংকসিটি থেকে একটি জাগুয়ার গাড়ি জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাড়িটি পিংকসিটির জেনো ভ্যালি নামে একটি বাড়ির গ্যারেজ থেকে জব্দ করা হয়। কূটনৈতিক সুবিধায় গাড়িটি আমদানির পর তা অবৈধভাবে হস্তান্তর করা হয়েছিল।
শুল্ক গোয়েন্দারা জানান, গাড়িটির প্রকৃত মালিক পিংকসিটির বাসিন্দা তানিয়া রহমানের স্বামী মৃত মাহবুবুর রহমান। তিনি বংলাদেশস্থ চেক রিপাবলিকের কনস্যুলার অফিসে কর্মরত ছিলেন। গাড়িটি কূটনৈতিক সুবিধায় এনে অবৈধভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মইনুল খান বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গত ৩০ ফেব্রুয়ারি সহকারী পরিচালক ইমাম গাজ্জালীর নেতৃত্বে শুল্ক গোয়েন্দা দল ঐ গ্যারেজে তল্লাশি চালিয়ে ঢাকা মেট্টো ভ ১১-১৬২৫ নম্বরযুক্ত জাগুয়ার গাড়িটি জব্দ করে।
তদন্তের স্বার্থে ঐ বাড়ির বাসিন্দা ও বর্তমান ব্যবহারকারী তানিয়া রহমানের নিকট থেকে গাড়িটি সাময়িক আটক করে শুল্ক গোয়েন্দা সদর দফতরে নিয়ে আসা হয়।
দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমকে (বৃহস্পতিবার) গাড়িটি জব্দের কথা জানিয়েছে।
আটককৃত গাড়িটির মডেল : কার (সেলুন) জাগুয়ার ২০০২, চেসিস নং : SAJACO1171FM2285, ইঞ্জিন নং : MIZ-138922363 ও রেজি নং: তৈরির সন : ২০০২।
গাড়িটির শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ১৫ লাখ ৮৫ হাজার ৪২১.৪৮ টাকা এবং শুল্ককরাদির পরিমাণ ২৩ লাখ ৮২ হাজার ৮৮৮.৪৭ টাকা।
প্রাপ্ত তথ্য মতে আমদানির সময় দাখিলকৃত বিল অব এন্ট্রি (বি/ই) অনুযায়ী গাড়িটির কান্ট্রি অব অরিজিন দেখানো হয়েছে জার্মানি। কিন্তু রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট অনুযায়ী কান্ট্রি অব অরিজিন চায়না। অন্যান্য সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী যুক্তরাজ্য।
এছাড়া আমদানি ইনভয়েসে এলসি নম্বর উল্লেখ আছে ০৪৪০২০১০১০৩, তারিখ: ০৪/০৬/২০০২। কিন্তু বিল অব লেডিং (বিএল) অনুযায়ী এলসি নং-০৭৪৪০২০১০১০৩। আবার বি/ই-তে এই নম্বর আছে ১৭৪৪০২০১০১০৩।
এতে প্রমাণ হয় যে, উক্ত গাড়িটি অস্পষ্ট ও মিথ্যা দলিলাদি উপস্থাপন করে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এখন শুল্ক আইন অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।