এশিয়ার পাঁচ দেশে সফরে বেরিয়েছেন সৌদির বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ। সবার প্রথমে মালয়েশিয়ায় পা রেখেছেন বাদশাহ সালমান। এর পরেই তার সফরের দেশ ইন্দোনেশিয়া। এই সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ায় নয় দিনের সফরে যাবেন তিনি।
ইন্দোনেশিয়ায় বাদশাহ সালমানের এই সফরের মাধ্যমে ৪৬ বছরে এই প্রথম মুসলিম প্রধান দেশটিতে সৌদির রাজ পরিবারের কোনো সদস্য সফর করবেন।
বাদশাহ সালমানের এই সফরের মাধ্যমে সৌদি আরব এবং ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাদশাহ তার এই সফরের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন। ইন্দোনেশিয়ার সংবাদ মাধ্যমে জানানো হয়েছে, বাদশাহ সালমান ৫০৬ মেট্রিক টন লাগেজ, দুটি মার্সিডিজ গাড়ি এবং দুটি ইলেক্ট্রিক লিফট নিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় সফর করবেন।
বাদশাহর লাগেজ বহনের জন্য একটি কোম্পানিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই ইন্দোনেশিয়ায় ওই লাগেজগুলো পৌঁছে গেছে। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আদজি গুনাওয়ান জানিয়েছেন, সৌদি বাদশাহর লাগেজ বহনের জন্য তার প্রতিষ্ঠানের ৫৭২ জন কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছে।
আড়ম্বর ও বিলাসবহুলভাবে সফরের কারণে আগে থেকেই সৌদি বাদশাহর সুনাম রয়েছে। তবে একই সঙ্গে তার এমন অপব্যয়ের জন্য সমালোচনাও হয়েছে। এর আগে ২০১৫ সালে ওয়াশিংটনে সফরের সময় জর্জটাউনের একটি বিলাসবহুল হোটেলের পুরোটাই বুক করেছিলেন তিনি। ওই হোটেলটি আশেপাশের বেশ কিছু হোটেলের মধ্যেৃ সবচেয়ে বেশি বিলাসবহুল ছিল। আর এতে মোট ২২২টি কক্ষ ছিল।
জাকার্তা পোস্টের এক খবরে জানানো হয়েছে, ১০ মন্ত্রী, ২৫ যুবরাজ এবং ১শ নিরাপত্তা সদস্যসহ মোট ১৫শ জন সৌদি বাদশাহর সফরসঙ্গী হবেন।