কাজ দেয়ার কথা বলে নারী-শিশুদের বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার করা হয়। আবার ভারত থেকেও নারীদের বাংলাদেশে পাচার করা হয়। এদের কীভাবে নিজ দেশে ফেরত আনা যায়, তা নিয়েই কাজ করছে মানবাধিকার কমিশন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ‘পাচার হওয়া নারী-শিশুদের দেশে ফেরাতে আমরা শিগগিরই ভারতের মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি। আগামী মাসেই আমার সঙ্গে ভারতের মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের একটা বৈঠক হবে। সেখানে এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা হবে। দেশে অথবা ভারতে গিয়ে আমরা এই চুক্তি স্বাক্ষর করবো।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করে বাংলাদেশের দশ নারীকে ১১টি শিশুসহ আটক রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে কলকাতা ভিত্তিক সংগঠন মানবাধিকার সুরা মঞ্চ ‘মাসুম’। এ ঘটনায় ভারতের মানবাধিকার কমিশনকে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়ে আটক নারীদের দ্রুত মুক্তি দিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক কিরিটী রায়।
মানবপাচার নিয়ে কাজ করে যশোরের ‘রাইটস যশোর’ নামে একটি মানবাধিকার সংগঠন। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক বলেন, ‘কিরিটী রায়ের সঙ্গে আমার নিয়মিত যোগাযোগ আছে। তিনি আমাকেও কিছু কাজ দিয়েছেন। ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার হয়ে আসা নারীদের নাম-ঠিকানা তিনি দিয়েছেন। আমরা সেগুলো নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কিছু কাজ করছি। আমাদের দেশে নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধ টিম যতটা দ্রুততার সঙ্গে কাজ করে ভারতে সেভাবে কাজটা হয় না। ফলে অনেক নারী ও শিশুকে সেখানে কারাগারে আটকে থাকতে হয়। আমরাও চাই দ্রুত এসব ভিকটিম নিজ দেশে ফেরত আসুক।
‘প্রতিনিয়তই পুলিশ পাচারকারীদের ধরছে, পাচার হওয়া নারী ও শিশুদের উদ্ধার করছে’ এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তান, ভারত ও মধ্যপ্রাচ্যে পাচারের ৬০ ভাগেরও বেশি কিশোরী। এদের বয়স ১২ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রায় ২৫ হাজার নারী ও শিশু দালালের মাধ্যমে বিদেশে পাচার হচ্ছে৷ এদের মধ্যে ছেলে-শিশুর সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার আর মেয়ে-শিশু প্রায় ১০ হাজার।