সামনে পাহাড়সম রানের বোঝা। জিততে হলে করতে হবে রেকর্ড ৪৪১ রান। এমন সমীকরণ মাথায় রেখে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে ভারত। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ৮৯ রান।
৪৪১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি স্বাগতিকদের। দলীয় ১৬ রানেই বিদায় নেন দুই ওপেনার মুরালি বিজয় ও লোকেশ রাহুল। শুরুটা করেন আগের ম্যাচে ৬ উইকেট পাওয়া ও`কেফি। বাঁ-হাতি এই স্পিনারের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন বিজয় (২)। আর নাথান লাওনের বলে এলবিডব্লিউ হন রাহুল (১০)।
এরপর উইকেটে এসে দেখেশুনেই খেলতে থাকেন দলের সেরা ব্যাটসম্যান কোহলি। তবে ও`কেফির বল লাইন মিস করলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান কোহলি (১৩)। এরপর লায়নের তালুবন্দি করে রাহানেকেও (১৮) সাজঘরে ফেরান এই স্পিনার। আর অশ্বিনকে (৮) এলবিডব্লিউ করে ইনিংসে ১০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন বাঁ-হাতি এই স্পিনার।
এর আগে চারবার জীবন পেয়ে সুযোগটা ভালো মতই কাজে লাগান অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। ভারতের মাটিতে তুলে নিলেন নিজের প্রথম শতক। শুধু তাই নয় ভারতের বিপক্ষেই টানা পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরিও। আর তার এই দুর্দান্ত সেঞ্চুরির উপর ভর করে ভারতের সামনে পাহাড়সম ৪৪১ রানের লক্ষ্য দেয় সফরকারী অস্ট্রেলিয়া।
পুণের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নামেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান স্মিথ ও মিচেল মার্শ। তবে আগের দিনে করা ২১ রানের সঙ্গে আর ১০ রান যোগ করেই ব্যক্তিগত ৩১ রানে জাদেজার বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন মার্শ। এরপর ম্যাথু ওয়েডের সঙ্গে ৩৫ রানের জুটি গড়েন স্মিথ। ব্যক্তিগত ২০ রান করে যাদবের বলে আউট হন ওয়েড।
এরপর প্রথম ইনিংসের নায়ক স্টার্কের সঙ্গে ৪২ রানের দুটি জুটি গড়েন ২৭ বছর বয়সী স্মিথ। তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৮ নম্বর শতক। আর ভারতের মাটিতে এটাই অজি অধিনায়কের প্রথম সেঞ্চুরি। তবে সেঞ্চুরির পর খুব বেশি সময় উইকেটে থাকতে পারেননি স্মিথ। ১০৯ রান করে জাদেজার বলে সাজঘরে ফেরেন অজি অধিনায়ক।
স্মিথের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি স্টার্কও। ৩০ রান করে টেস্টের অশ্বিনের শিকার হয়েছেন তিনি। শেষ ব্যাটসম্যান ও’কেফি আউট করেন জাদেজা। ফলে ২৮৫ রানেই শেষ হয় অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস। জিততে হলে চতুর্থ ইনিংসে ৪৪১ রান করতে হবে ভারতকে। ভারতের মাটিতে তো বটেই, টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসেই চতুর্থ ইনিংসে এত রান করে জেতার রেকর্ড নেই কোনো দলের।