তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, জাতীয় সংসদের আগামী অধিবেশনেই সম্প্রচার আইন উত্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে সম্প্রচার কমিশন গঠিত হবে। কমিশন ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমকে ছাড়পত্র দেবে, তা বাতিলও করতে পারবে। এটা আধা বিচারিক শক্তিশালী সংস্থা হবে।
রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার বিচার নিয়ে কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। এ হত্যা মামলার আইনগত নিষ্পত্তি না হওয়াকে ব্যর্থতা হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ব্যর্থতা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে।
বিএনপির নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের প্রস্তাব চক্রান্ত হিসেবে বর্ণনা করে ইনু বলেন, সহায়ক সরকারের প্রস্তাব কার্যত নির্বাচন ভন্ডুল করা এবং অস্বাভাবিক সরকার গঠনের ক্ষেত্র তৈরির চক্রান্ত ছাড়া আর কিছু না।
খালেদা জিয়া ও বিএনপি মামলা থেকে রেহাই পেতে সরকারের সঙ্গে দর-কষাকষির ক্ষেত্র তৈরি করতে বিএনপি নেতারা এসব প্রস্তাবের কথা বলছে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন বর্জনের হুমকি গণতন্ত্রকে জিম্মি করার হুমকি। এটা করতে দেয়া হবে না।
সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ড গঠনের জন্য প্রাথমিক কাজ শেষ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন এই বোর্ডের প্রধান হিসেবে একজন বিচারপতির নাম চাওয়া হয়েছে আইনমন্ত্রীর কাছে। এটা হলেই বোর্ড গঠন হবে। এবার ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমকে ওয়েজ বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মোরসালীন নোমানী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।