মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পাঁচ দেশকে ভিসা দেবে না কুয়েত। সিরিয়া, ইরাক, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং ইরানের নাগরিকদের ভিসা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাতটি মুসলিম দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির পর কুয়েতের তরফ থেকে এমন ঘোষণা এলো।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকা দেশগুলোও মুসলিম প্রধান দেশ। এই দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক বা সামরিক সংঘাত রয়েছে। ক্যাটো ইন্সটিটিউটের অ্যালেক্স নওরাস্তে বলেছেন, যে সাতটি দেশের ওপর ট্রাম্প নিষেধাজ্ঞা এনেছেন ১৯৭৫ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সেসব দেশের নাগরিকদের দ্বারা কোনো সন্ত্রাসী হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে কোনো মার্কিন নাগরিকের হত্যার ঘটনা ঘটেনি।
অ্যালেক্স এই কথার মাধ্যমে এটা বোঝাতে চেয়েছেন যে, জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করছে বস্তুত তা নিরাপত্তা উন্নয়নে আসলেই কোনো প্রভাব ফেলবে না।
নিষিদ্ধ এই পাঁচ দেশের নাগরিকদের শরণার্থী হিসেবে কুয়েতের ভিসার জন্য আবেদন না করার আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সরকার। মৌলবাদী ইসলামিক সন্ত্রাসীদের কেউ অভিবাসী হিসেবে দেশটিতে প্রবেশ করতে পারে এমন আতঙ্ক থেকেই কুয়েত ওই পাঁচ দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আনছে।
২০১৫ সালে কুয়েতের একটি শিয়া মসজিদে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ২৭ জন নিহত হয়। এরা সবাই কুয়েতের নাগরিক। কুয়েতই একমাত্র দেশ যারা ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ জারির পরপরই সিরীয় নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা এনেছে। এর আগে ২০১১ সালে সিরীয় নাগরিকদের ভিসা স্থগিত করেছিল কুয়েত।
গালফ কো অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) সদস্য দেশ হওয়ায় জিসিসিভূক্ত দেশগুলো এবং ইরানের মধ্যে কুয়েতের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে উত্তেজনা শুরু হয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল মাইকেল ফ্লিন হোয়াইট হাউস থেকে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে ইরানকে নোটিশ দিয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।