স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সীমান্ত সুরক্ষা ও সমস্যার উত্তরণে ভারত-মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনাকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। অনেক বিষয় আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করা সম্ভব। তবে আমরাও বসে নেই। কোনো ধরনের ইনসিডেন্ট ঘটলে যেন প্রতিরোধ করতে পারি সেজন্য বিজিবির সক্ষমতা বৃদ্ধি ও শক্তিশালী করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত কমান্ডিং অফিসারদের সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
৬৫ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করার বিষয়ে বিজিবি ডিজি আবুল হোসেনের মন্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গুনে গুনে তো আর সঠিক রোহিঙ্গাদের সংখ্যা জানানো সম্ভব নয়। বাংলাদেশে প্রবেশ করা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে- সে প্রসঙ্গে তিনি সীমান্ত পরিদর্শনে গিয়ে সঠিক পরিসংখ্যান অনুসন্ধানের কথা বলেছিলেন।
অধিনায়ক সম্মেলনের আলোচনা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বিজিবির কমান্ডিং অফিসাররা তাদের অভিজ্ঞতা ও সমস্যার কথা জানিয়েছেন। সীমান্তে রাস্তা ও বিওপি বাড়ানোর কথা বলেছেন। আমরা পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নেব। বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে জনবলের অনুপাত ৬:১। যেখানে বিএসএফ সদস্যের সংখ্যা ৬০০ সেখানে বিজিবির সংখ্যা ১০০। জনবল বাড়িয়ে বিজিবিকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে।
বিজিবি প্রধানের বরাতে গণমাধ্যমে সংবাদ এসেছে বিএসএফ সীমান্তে আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়, আদৌ কি তা ঠিক? জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বিএসএফ আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায় বলে বিজিবিকে জানানো হয়েছে। বিজিবি প্রধান বিএসএফ প্রধানের বরাতে কথাটি বলেছেন। কিন্তু বিএসএফের সেই বরাত বাদ দিয়ে সরাসরি বিজিবি প্রধানের বরাতে গেছে যা সঠিক নয় বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
সীমান্তে ছোটখাটো সমস্যা হয়, হতেই পারে
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্তে ছোটখাটো সমস্যা হয়, হতেই পারে। আমাদের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রয়েছে। মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে আলোচনা চলছে। আমরা মনে করি আলোচনাই সমস্যা সমাধানের নিয়ামক হতে পারে। তবে আমরাও বসে নেই। কোনো ধরনের ইনসিডেন্ট ঘটলে যেন প্রতিরোধ করতে পারি সেজন্য বিজিবির সক্ষমতা বৃদ্ধি ও শক্তিশালী করা হয়েছে।
এর আগে সীমান্ত নিরাপত্তা, চোরাচালান, মাদক, নারী ও শিশু পাচারসসহ অন্যান্য সীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধের বিষয়ে বিজিবি কমান্ডিং অফিসাররা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তথ্য দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র সচিব ড.কামাল উদ্দিন আহমেদ, বিজিবি প্রধান মেজর জেনারেল আবুল হোসেন।